নর্দান মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ৪ জেলায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
10, March, 2021, 3:58:31:PM
রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের নর্দান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশন ও নিরাপত্তার দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট এবং সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন । এতে দিনাজপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে শহীদ মোক্তার এলাহী গোলচত্বরে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর পর দুপুর ১টা থেকে তারা ওই সড়কে বসে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি আলতাফ হোসেন জানান, সকাল ১০টা থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে শহীদ মোক্তার এলাহী গোলচত্বরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এর পর দুপুর ১টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন। এতে দিনাজপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার, সিটি মেয়র ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করেন রংপুরে নর্দান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ওই সময় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং তাদের দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট মহলকে আহ্বান জানান। দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরভবনে প্রবেশ করে প্রবেশপথে অবস্থান নেন। সেখানে মাইগ্রেশন, মূল কাগজপত্র ফেরত এবং নিরাপত্তার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই অফিস থেকে নেমে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন মেয়র।
এ সময় শিক্ষার্থীরা মেয়রকে দাবি আদায়ের জন্য স্মারকলিপি দেন এবং অভিযোগ করেন তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কলেজ কর্তৃপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এখন তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ সময় তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিজেদের নিরাপত্তা ও মাইগ্রেশনের দাবি জানান। মাইগ্রেশন দেওয়ার বিষয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিএমডিসি চেয়ারম্যান ড. শহীদুল্লাহর দেওয়া ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ায় সবার দ্বারে দ্বারে গিয়ে আন্দোলনে আছেন বলেও মেয়রকে জানান শিক্ষার্থীরা।
এই কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুমোদনহীনভাবে ১৩-১৪ সেশন থেকে একাডেমিক নবায়ন, বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই গত ৫টি সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে কলেজটির হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
তাদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের মধ্যেই এমবিবিএস থেকে পাস করে ১১ মাস অলস সময় কাটানোর পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিএমডিসির এক আদেশে ১১ নেপালিসহ ২১ শিক্ষার্থীর ইন্টার্ন করার সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু ৩২ নেপালিসহ আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর মাইগ্রেশনের ঘোষণা এলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন দপ্তরের সামনে গিয়ে ধরণা দিচ্ছেন তারা।