স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: স্বাধীনতা দিবসে ‘হত্যাকান্ডের’ প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিএনপি। দু’দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী সোমবার ঢাকাসহ সব মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মঙ্গলবার সারা দেশের সব জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি।
শনিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার দিবসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে মানুষ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ আগামী ২৯ মার্চ ঢাকাসহ সব মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল এবং ৩০ মার্চ জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল অথবা সমাবেশের কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করছি।
কর্মসূচি ঘোষণার আগে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় দলের মহাসচিব ছাড়াও অংশ নেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
হেফাজতের হরকতাল কর্মসূচিতে বিএনপির সমর্থন রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রত্যেকটা সংগঠনের, প্রত্যেকটা নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে প্রতিবাদ করার। তবে হেফাজতে ইসলামের রোববারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে আনুষ্ঠানিক কোনো সমর্থন জানায় নি বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে একদিকে যখন জনগণ মহান স্বাধীনতার দিবস পালন করছে, তখন অন্য দিকে এই অবৈধ সরকার তার পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে। বায়তুল মোকাররমে জুমা নামাজের পরে একটি সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উসকানিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় ২ শতাধিক তরুণ মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে। এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশের নৃশংস হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালানোয় কমপক্ষে ৪ জন নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা আগেই জানিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সমাবেশ থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।