স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য  সরকার ঘোষিত লকডাউন শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সাত দিন এই লকডাউন বহাল থাকবে।

লকডাউনের কারণে রাজধানীতে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও রিকশা, সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল সবই চলছে। কিছু প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বাস চলছে। ফলে কোনো কোনো জায়গায় যানজট এড়াতে ট্রাফিক পুলিশকে রাস্তার সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। আবার গণপরিবহন চলাচল না করায় অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

সোমবার সকালে মতিঝিল, কাকরাইল, পল্টন, শাহবাগ, রামপুরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস নেই। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চলছে।

রামপুরা থেকে রিকশায় চেপে অফিসের পথে যাত্রা করা মরিয়ম বলেন, মতিঝিলে অফিস। লকডাউন দিলেও অফিস খোলা রয়েছে। গাড়ি বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে রিকশায় যাচ্ছি।

মালিবাগের আবুল হোটেল মোড়ে এসে দেখা যায়, গাড়ির বেশ চাপ। সেখানে কথা হয় ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হওয়া আশফাক আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, অফিস খোলা থাকলে বাসা থেকে বের হতেই হবে। সবার পরিবার আছে। রুটি-রুজির চিন্তা আছে। সুতরাং অফিস খোলা থাকলে করোনার ভয়ে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।

যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় গাড়ি না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অফিসগামী সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ এসে রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।

বাস বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ভ্যানে করে অফিস যাচ্ছেন সোহাগ। তিনি বলেন, দেশে সাত দিনের লকডাউন দিলেও আমাদের অফিস তো খোলা। আর অফিসে যাওয়ার জন্য কোনো বাস পাচ্ছি না। রিকশা চালকরা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া চাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে ভ্যানে চড়েছি।

করোনার সংক্রমণ বাড়ায় রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।  প্রজ্ঞাপনে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সময়ে- বাস, ট্রেন, লঞ্চ, বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবা দানের ক্ষেত্রে এ আদেশ  প্রযোজ্য হবে না। বন্ধ থাকবে শপিংমল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কাঁচাবাজার এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করতে বলা হয়েছে।