কানাইঘাট প্রতিনিধি: করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করলেও সিলেটের কানাইঘাটে তা পুরোপুরি ভাবে কার্যকর হচ্ছে না। বাস বন্ধ থাকলেও অন্যান্য সব ধরনের যানবাহন যাত্রীদের নিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলছে। উপজেলা সকল হাট-বাজারে আগের মতো ভিড় দেখা যাচ্ছে। সরকারী নির্দেশ অমান্য করে সন্ধ্যা ৭ টার পর ও হাট-বাজারে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখছেন ব্যবসায়ীরা। একই সাথে জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা নেই বললেই চলে।
তবে লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা সুলতানা মাঠ পর্যায়ে জন সাধারণের মাঝে করোনা সচেতনতা বৃদ্ধির তৎপর চালাচ্ছেন। সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তৎপর ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে তিনি কানাইঘাট বাজার ও উপজেলা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দোকান খোলা রাখার দায়ে ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। একই সাথে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও অটোরিক্সা-সিএনজি, লেগুনা ও ব্যাটারী চালিত টমটমে অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহন করছে। যেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। যাত্রীদের অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে এবং প্রতিটি এলাকায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক মহল ও সুধিজনদের নিয়ে সচেতনতামূলক তৎপরতা চালাতে হবে- মনে করেন সচেতন মহল।
নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি জানান, লকডাউন মানতে জন সাধারণকে সচেতন করার জন্য প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং সহ প্রচারণা চলছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি ও জন সাধারণকে করোনার ভয়বহতা তুলে ধরে তাদের জীবন সুরক্ষিত করার জন্য বুঝানোর চেষ্টা করছি। এখন থেকে লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ অভিজিত শর্মা জানিয়েছেন গত দু’সপ্তাহে কানাইঘাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন এর মধ্যে গত রবিবার ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে করোনার ভেকসিন গ্রহন করার জন্য চল্লিশোর্ধ্ব সবাইকে আহ্বান জানান তিনি। কারো জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা দেখা দিলে হাসপাতাল এসে করোনার নমুনা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানান।