স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : দেশে মহামারী করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ভাঙছে আগের দিনের শনাক্ত রোগীর রেকর্ড। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। কোভিড রোগীতে ভরপুর সব হাসপাতাল। এমন পরিস্থিতিতে সারাদেশে সাত দিনের লকডাউনের আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিন চলছে। গত কয়েকদিনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আজ পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা করা হবে। দেখা যাক অবস্থা কী হয়। তিনি আরও বলেন, দেখি আমরা সাতদিন পর কী অবস্থা হয়। বৃহস্পতিবার আমরা রিভিউ করব ইনশাআল্লাহ। মানুষকে তো কোঅপারেট করতে হবে। আপনারা তো বলছেন...সবাই যদি একটু মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, তবে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এবার কঠোর বিধিনিষেধ আসতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭১তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মানুষকে বাঁচানোর জন্য ভবিষ্যতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনারাও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলবেন। সবাইকে উৎসাহিত করবেন। মাস্ক পরবেন। ঘরে ফিরে গরম পানির ভাপ নেবেন। গড়গড়া করবেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষপটে বেশ কয়েটি নির্দেশনা দিয়ে ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার।
করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গত ২৯ মার্চ যে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল, তার আলোকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলা সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের তৃতীয় দিন থেকে মহানগরীতে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে; স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।