স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : অবশেষে বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার। ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসি।
এছাড়া কমিশন প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৪৭ দশমিক ৯২ টাকা নির্ধারণ করেছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল জলিল বলেন, বেসরকারি এলপিজি মজুদ ও বোতলজাতকরণ কোম্পানিগুলোর জন্য ভোক্তা পর্যায়ে মূসক ছাড়া প্রতিকেজি ৭৬ টাকা ১২ পয়সা, মূসকসহ ৮১ টাকা ৩০ পয়সা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসাবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজির বোতলের মূল্য হবে মূসকসহ ৯৭৫ টাকা।
এতোদিন ধরে একেক স্থানে এলপিজি গ্যাসে দাম একেক রকম নেয়া হতো। চাহিদা সংকটের সময় বাড়তি দাম আদায়ের অভিযোগও পাওয়া যেতো। হাইকোর্টের আদেশ ও বিইআরসি আইনের ২২ (খ) ও ৩৪ ধারা অনুযায়ী গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, গণশুনানি শেষে সবকিছু বিচার-বিবেচনা ও দাখিল করা তথ্য যাচাই-বাছাই করে একাধিক সভার মাধ্যমে কমিশন দাম চূড়ান্ত করেছে। এই দাম আজ থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, দাম সারাদেশে অভিন্ন থাকবে। ভোক্তারা বাড়তি দাম দেবেন না। কমিশনের আদেশ বাস্তবায়ন করতে লাইসেন্সধারীরা বাধ্য। তা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলিন্ডারের মান নিশ্চিত করার বিষয়ে কমিশন কি করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিলিন্ডারের মানের বিষয়ে আরো কিছু সংস্থার দায়িত্ব রয়েছে। তারপরেও নিম্নমানের হয়ে থাকলে সেসব সংশ্লিষ্ট দপ্তর ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।