স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানোর সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন কাদের।
তবে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিবদের সভা থেকে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাউনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে রোববার রাতে ভার্চুয়াল সভা শেষে মহামারীর সংক্রমণরোধে আরও এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এক সপ্তাহের লকডাউন শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কমিটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করায় কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করে।
সংবাদ বিজ্ঞপিতে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দফতর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।
লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিটি। এছাড়া কাঁচা বাজার আবারও উন্মুক্তস্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি।
দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম দফায় গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়, যে বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতা চলে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে সার্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়। শেষ হবে ২১ এপ্রিল।