স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: যারা তাণ্ডবলীলার সাথে সরাসরি জড়িত, বাড়িঘরে হামলা ও আগুন দিয়েছে, তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনও দল বা আলেম-ওলামা দেখে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহী সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। বর্ষার আগেই নির্মাণাধীন কাজ এগিয়ে নিতেও সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপি যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত, তা আজ সবাই জানে। হেফাজতের সাম্প্রতিক তাণ্ডবলীলায় বিএনপি শুধু পৃষ্ঠপোষকতাই নয়, বরং এসব সহিংস ঘটনায় জড়িত ছিলো।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এক যুগের বেশি সময় ধরেই আন্দোলনের হাঁক-ডাক দিয়ে যাচ্ছে। শুধু আন্দোলনই নয়, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে তাদের নির্লজ্জ ভরাডুবিই প্রমাণ করে জনগণ থেকে কারা জনবিচ্ছিন্ন। পারস্পরিক দোষারোপ করোরই এসময় করা উচিত নয়, কিন্তু নিত্যদিন বিএনপির মিথ্যাচার ও অন্ধ সমালোচনার জবাব দিতে হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকে যে দল অগণতান্ত্রিক পথরেখা ধরে হেঁটেছে তারা আজ গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে এবং সবক দিচ্ছে দেশ ও জাতিকে। বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে ‘না ভোটের’ বাক্সবিহীন হ্যাঁ/না ভোট আর রাতের বেলায় কারফিউ। বিএনপির গণতন্ত্র মানে ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন, মাগুরা আর ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন আর ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারের প্রস্ততি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রে বন্ধুর পথ ধরে হাঁটছেন শেখ হাসিনা। বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে অত্যন্ত আন্তরিক বর্তমান সরকার। কিন্তু বিএনপি এ পথে বড় বাধা, তাদের অসহযোগিতা এবং বাধার কারণেই গণতন্ত্রের মসৃণ যাত্রা বারবার হোঁচট খেয়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গ্রাহকদের কাছে বিআরটিএ’র গ্রহণযোগ্য করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানে হয়রানি আগের তুলনায় কমলেও কিছু কিছু এলাকায় অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো বন্ধ করতে হবে।’