স্বাধীন বাংলা অনলাইন: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর গোপন বৈঠকের স্বীকারোক্তি নির্জলা মিথ্যাচার বলে দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বকে কলঙ্কিত করতে মুফতি ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে পুলিশ মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে বলে দাবি করছে হেফাজত।
বুধবার (২১ এপ্রিল) হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা তাজুল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ যাবত কোনো বৈঠক তো দূরের কথা, বাবুনগরীর সঙ্গে কখনো সাক্ষাৎ হয়নি বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি। হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামের জবানবন্দিকে উদ্ধৃত করে কয়েকটি গণমাধ্যমে ওই বৈঠকের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বিবৃতিতে মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বকে কলঙ্কিত করতে মুফতি ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে পুলিশ মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। এই স্বীকারোক্তি একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেমের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। দেশবাসী এমন মিথ্যা স্বীকারোক্তি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ যাবত কোনো বৈঠক তো দূরের কথা, আল্লামা বাবুনগরীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার কখনোই সাক্ষাৎ হয়নি।
মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, হেফাজত আমিরের কাছ থেকে আমি জেনেছি, ২০১৩ সালে যখন তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়, তখনও পুলিশ তাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কিনা জানতে চেয়েছিল। রিমান্ডেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বৈঠক তো দূরের কথা, খালেদা জিয়াকে সামনাসামনি তিনি কখনোই দেখেননি। মুঈনুদ্দীন রুহি ও ফখরুল ইসলাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যা দাবির স্বপক্ষে তাদের কেউই কখনো কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারবেন না।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ইবাদত-বন্দেগির মাসে হেফাজতের নেতাকর্মী ও হাক্কানি ওলামায়ে কেরামের ওপর পুরনো মিথ্যা মামলা সচল করে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গুটিকয়েক নীতি-আদর্শচ্যুত সাবেক নেতাকে এতে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ ২০১৩ সাল বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এখনো ইন্টারনেটে সার্চ দিলে সহজেই জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তখনকার সংবাদে খুঁজে পাওয়া যাবে—সে সময়ে কোন কোন নেতা কর্মীদের দিবাস্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং কী কী ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু সরকার তাদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ তো দূরের কথা, বরং তাদের আস্কারা দিয়ে ও ব্যবহার করে হাক্কানি আলেমদের হয়রানি করে মূলত ইসলামী চেতনাবোধের কণ্ঠরোধ করতে চায়। দেশবাসী এটা সহজেই উপলব্ধি করতে পারছেন।