স্বাধীন বাংলা অনলাইন: সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম সারা দেশের ওয়াজ মাহফিল নিয়ন্ত্রণ করছে বলে রিমান্ডে থাকা হেফাজত নেতারা পুলিশকে জানিয়েছেন। ওয়াজ মাহফিলকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ‘রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন’ নামে একটি সংগঠন তৈরী করা হয়। এই সংগঠনই মূলত দেশের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলের আয়োজকদের নিজেদের বক্তাদের সুযোগ করে দিতে বাধ্য করতো।
রিমান্ডে তারা জানান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নিজেদের নেতাকর্মীদের নিয়ে সারা দেশে ‘রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন’ নামের একটি সংগঠন তৈরি করেছে। সেই সংগঠনের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে সারা দেশে ওয়াজ মাহফিল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম নিজ কার্যালয়ে হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে এ তথ্য দেন।
গ্রেফতার এসব নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোরআন হাদিস বোঝেন, জানেন- এমন তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনটি টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্তে মূলত নাশকতার মূল উদ্দেশ্য কী, কারা করছে, কেন করছে- তা জানার চেষ্টা করছেন তারা।
মাহবুব আলম বলেন, হেফাজত নেতাদের বিভিন্ন ওয়াজে নেওয়ার জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আয়োজকদের বাধ্য করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা উগ্রবাদী বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে পারছে। তাছাড়া মাদ্রাসার গরিব ছাত্রদের ব্যবহার করে হেফাজত নেতারা বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন। মাদ্রাসা দখলের মতো অপকর্ম ও অনেকের নারী বিলাসের মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
নাশকতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সম্প্রতি ১২টি মামলা এবং ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের সেই ঘটনায় দায়েরকৃত ৫৩টিসহ মোট ৬৫টি মামলার তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির এই যুগ্ম কমিশনারের তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরকে ঘিরে দেশব্যাপী তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় এখন পর্যন্ত হেফাজতের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের ১৪ জন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।