মোঃ রেজাউল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর-রাধিকা সড়ক নির্মানের জন্য এলাকাবাসীর ভিটে-বাড়ি সদকায়ে জারিয়া হিসেবে দিয়ে দিতে বলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসরেন এমপি এবাদুল করিম বুলবুল। গতকাল শনিবার দুপুরে (২৪ এপ্রিল) নবীনগরের কনিকাড়া গ্রামে সড়কটির নির্মাণ নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এবাদুল করিম বুলবুল এই কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, “অনেকের আর্থিক অবস্থা ভালোনা এমন লোকের ভাড়ি-ঘরও পড়েছে। যদি তারা বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে হয়। টাকা না পেলে তো তারা বাড়ি তৈরি করতে পারছে না। যতদিন পর্যন্ত নতুন বাড়ি তৈরি করতে না পারছে ততদিন পর্যন্ত তাদের বাসা ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আর যারা আল্লাহর রহমতে সচ্ছল আছেন সদকায়ে জারিয়ার কাজ আমরা করি না? মসজিদ মাদ্রাসার জন্য হুজুররা বয়ান দিলে আমরা দুই এক বিঘা জমিও দিয়ে দেই। রাস্তা কি সদকায়ে জারিয়া নাকি অন্য কিছু? সওয়াব পাইবেন”। তার এ বক্তব্যের পরই এলাকাবাসীর অনেকে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এমপির এই বক্তব্য নবীনগরে এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
নবীনগর-রাধিকা সড়ক নির্মাণের প্রক্রিয়া ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বসতবাড়ি ও জমির মালিকদের জমির মূল্য পরিশোধ না করে রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বাধা দিয়ে থাকেন। এ বিষয় নিয়ে মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিলো। এমপির বক্তব্য প্রদানকালে উত্তেজিত হয়ে বাঁধা প্রদান করেন এলাকার কামরুজ্জামান, ইয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, এরশাদ মিয়াসহ ভুক্তভোগী বসতবাড়ি ও জমির মালিকগণ।
কনিকাড়া গ্রামের ইয়ার হোসেন বলেন, “উনি (এমপি) আমাদেরকে বলতেছেন আমরা ভাড়া বাসায় চলে যেতে। আমরা গরু-ছাগল নিয়া ভাড়া বাসায় উঠমু ক্যামনে”?
জল্লা গ্রামের জেসমিন আক্তার বলেন, “টেহা না দিয়া আমরারে কইতাছে উইট্টা যাইতামগা। আমরা দরহার লাগলে রক্ত দিমু তবু আমরা জাগা দিতাম”।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, প্রকৌশলী প্রনব কুমার, ইউএনও একরামুল সিদ্দিক, এসিল্যান্ড ইকবাল হাসানসহ স্থানীয় ও নবীনগরের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে এবাদুল করিম বুলবুল এমপির মোবাইলে একাধিক বার ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।