স্বাধীন বাংলা অনলাইন : চলমান লকডাউনের মধ্যেও অনেকে চোরাইপথে আসা-যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন। সম্প্রতি পদ্মায় স্পিডবোটডুবিতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ঈদযাত্রা যেন অন্তিম যাত্রায় পরিণত না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে আগে জীবন পরে জীবিকা। তাই উৎসব আনন্দের কী দাম আছে যদি জীবন থেকেই দূরে সরে যেতে হয়। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক উৎসব, আনন্দ করা যাবে। ঈদযাত্রা যেন অন্তিম যাত্রায় পরিণত না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
বুধবার (৫ মে) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ এবং অসহায়-দরিদ্র মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। তার সরকারি বাসভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
সরকারকে ফাঁকি দেওয়া যায় কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া যায় না। এ ধরনের ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্র্যাজেডি অনিবার্য হয়ে পড়ে, কাজেই এ ধরনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কিন্তু একটা দল ঢাকায় বসে শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। তারা একেক সময় একেক আন্দোলনের ওপর ভর করে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় লিপ্ত, তারা করোনার এই সংকটের সময়েও সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে।
‘যারা ভাসমান, ঘরবাড়ি নেই তাদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং বিতরণের সময় সবাইকে একটি করে মাস্ক বাধ্যতামূলক দিতে হবে।’
এসময় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল।