স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : করোনা পরিস্থিতিতে সর্বাত্মক লকডাউনে টানা ২০ দিন বন্ধ থাকার পর সারাদেশের আবারও গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। কোনও বাস জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। তবে দূরপাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে।
গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে আগামী ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন বা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জেলার গাড়ি জেলাতে চলাচল করতে পারবে। তবে আন্তঃজেলা বাস, ট্রেন ও নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে সড়কে বাস চলাচালের দৃশ্য দেখা গেছে। অনেক জায়গাতেই বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। লাইন ধরে গণপরিবহনে উঠছেন তারা। তবে স্বাস্থবিধি উপেক্ষা করার খবর পাওয়া গেছে। ঢাকা ছাড়াও দেশের সব জেলায় বাস চালুর খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর, গাবতলী, আসাদগেট, শ্যামলী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না অনেকাংশেই। চলছে দাঁড় করিয়ে যাত্রী পরিবহন। বেশিরভাগ বাসে যাত্রী ওঠানোর সময় চোখে পড়েনি কোনও জীবাণুনাশক স্প্রে’র। তবে দুই একটি বাসে স্প্রে ছিটিয়ে যাত্রীদের বাসে ওঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাসের হেলপার কিংবা চালকদের অনেকেরই ছিল না মাস্ক। এছাড়া অনেক যাত্রীর কাছে মাস্ক থাকলেও ছিল থুতনিতে কিংবা হাতে।
গতকাল বুধবার গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সেগুলো হলো- আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। কোনোভাবেই মোটরযানের ফিটনেস সনদে উল্লেখিত আসনের অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ শতাংশের বেশি নেওয়া যাবে না। ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। চালক শ্রমিক যাত্রীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়াও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সেগুলো হলো- মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী গাড়িতে ওঠাতে পারবে না এবং গাড়ির স্টাফদের মালিক মাস্ক সরবরাহ করবেন। গাড়িতে সিটের অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে। লকডাউনে মালিক-শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এক্ষেত্রে রুট মালিক সমিতি বা পরিবহন কোম্পানির জিপির নামে কোনো ধরনের অর্থ গাড়ি থেকে আদায় করতে পারবে না।