চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ-সিনোফার্মের উৎপাদিত টিকা আমদানি নিয়ে নানা নাটকীয়তা চলছে। বেশ কয়েক মাস আগে চায়না সিনোফার্মের টিকা আমদানির আলোচনা শুরু হয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং দাবি করেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে না পারা ও সময়ক্ষেপণের কারণে টিকা কিনতে দেরি হয়েছে বাংলাদেশের।
টিকা কূটনীতির এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে আসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক নানা দুর্বলতা। চীনা ভাষায় লেখার জায়গায় সই করে ফেলা, আবার চাহিদাপত্র দিয়ে পরে তা কমানোসহ নানা ধরণের অসঙ্গতি প্রকাশ পেতে থাকে।
এরপর, অপ্রকাশযোগ্য চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার জানিয়ে দেন, ডোজপ্রতি ১০ মার্কিন ডলারে বাংলাদেশকে দেড় কোটি করোনা টিকা দেওয়ার চুক্তি করেছে চায়না সিনোফার্ম। এতে চীনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয় ক্ষোভ। পরে চীনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে হয় বাংলাদেশকে।
অবশেষে আজ শনিবার (৫ জুন) বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে জানান, চীন সরকার তো দূরের কথা, সিনোফার্মের সঙ্গেই এখনো টিকা কেনার কিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি বাংলাদেশের।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের তথ্য যদি সঠিক হয়, তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কেন শুধু মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে! এটা বলা বাহুল্য প্রথমত, এখন পর্যন্ত সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো চুক্তি হয়নি। দ্বিতীয়ত, এটি চীনা সরকার নয়, বরং এটি সিনোফার্ম এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি।
তবে তিনি নিশ্চয়তা দেন, ১৩ জুনের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে চীনের উপহারের আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা।