ক্রীড়া ডেস্ক : জাতীয় দলের জার্সি গায়ে রেকর্ড গড়ার ম্যাচে আলো ছড়ালেন লিওনেল মেসি। অসংখ্য সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি করলেন দুটি গোল। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের জাদুকরী ফুটবলে রীতিমত উড়ে গেছে বলিভিয়া। মেসি-আগুয়েরোরা জয় ৪-১ গোলে বড় ব্যবধানে।
আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল লিওনেল আর্জেন্টিনার। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য শেষ ম্যাচে প্রয়োজন ছিল জয়। মেসিরা শুধু জয়ই পায়নি; চলতি আসরে সবচেয়ে বড় জয়ও পেয়েছে তারা।
বিশাল এই জয়ে জোড়া গোল করেছেন মেসি। বাকি দুটি গোল করলেন আলেহান্দ্রো গোমেজ এবং লওতারো মার্টিনেজ। বলিভিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন এরউইন সাভিদরা।
এই ম্যাচে যে অধিনায়ক মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া হবে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। সে হিসেবে বলিভিয়ার বিপক্ষে পুরো সময়টাই মাঠে ছিলেন মেসি। আর নামার সঙ্গে সঙ্গেই হাভিয়ের ম্যাসচেরানোকে পিছনে ফেলে আলবিসেলেস্তের হয়ে ১৪৮ ম্যাচ খেলে সর্বকালের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার নজির গড়লেন তিনি। ম্যাচে জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়কও তিনি।
বলিভিয়াকে শুরুতেই চেপে ধরা আর্জেন্টিনা এগিয়ে যেতে পারত চতুর্থ মিনিটে। গনসালো মনতিয়েলের ক্রসে সের্হিও আগুয়েরোর শট ঠেকান লাম্পে। তবে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে না পারলেও ফিরতি বলে আনহেল কোররেয়ার শট আটকে দেন এই গোলরক্ষক।
ষষ্ঠ মিনিটে আর পারেননি লাম্পে। কোররেয়ার কাছ থেকে ডি বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় ডিফেন্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে বল বাড়ান মেসি। ছুটে গিয়ে চমৎকার ভলিতে বাকিটা সারেন গোমেজ।
৩৩ মিনিটে গোলের খাতায় নাম লেখান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এবার গোল আসলো পেনাল্টি থেকে। পাপ্পু গোমেজকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন বলিভিয়ার দিয়েগো বেজারানো। স্পট কিকে গোল করেন মেসি।
৪২ মিনিটে অসাধারণ এক গোল আসলো মেসি এবং আগুয়েরোর যুগলবন্দীতে। বলিভিয়ার ডিফেন্সিভ হাফ থেকে বল বাড়িয়ে দেন আগুয়েরো। আগুয়ান মেসি বলটা শুধু তুলে দিলেন বলিভিয়ার গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে। সেটি গিয়ে আশ্রয় নেয় বলিভিয়ার জালে। দেশের হয়ে এটি মেসির ৭৫তম গোল, কোপা আমেরিকায় ১২তম।
নিজের শততম ম্যাচে অ্যাসিস্টের পর জালের দেখাও পেয়ে যাচ্ছিলেন আগুয়েরো। ৪৪তম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে তার শট একটুর জন্য থাকেনি লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইরকম আক্রমণাত্মক শুরু করে আর্জেন্টিনা। তবে ৬০তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে ব্যবধান কমায় বলিভিয়া। লিওনেল জুস্তিনিয়ানোর ক্রসে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন এরউইন সাভিদরা।
তবে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে সময় নেয়নি আর্জেন্টিনা। ৬৩তম মিনিটে বদলি নেমে দুই মিনিটের মধ্যে জালের দেখা পেয়ে যান লওতারো মার্টিনেজ।
মার্কুস আকুনার ক্রস ঝাঁপিয়ে কোনোমতে হাত ছোঁয়ান গোলরক্ষক। ফিরতি বলে আর্জেন্টিনার এক খেলোয়াড়ের শট বলিভিয়ার ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পাল্টালে পেয়ে যান অরক্ষিত মার্টিনেজ। খুব কাছ থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠান ইন্টার মিলানের এই স্ট্রাইকার।