স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। অদৃশ্য এই ভাইরাসে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এমন পরস্থিতিতে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। চলমান এই বিধিনিষেধ আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
এরপর ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে চলমান বিধিনিষেধ শিথিল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগামী ২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর লকডাউন শুরু হবে।
জানা গেছে, ঈদে মানুষের গ্রামে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার। কারণ, ঈদুল ফিতরে লকডাউন শিথিল না করার পরও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরেছে। আসছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার চিন্তা চলছে। পাশাপাশি শপিংমল, দোকানপাটসহ সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলে দেয়ার চিন্তা করছে সরকার।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত ৯ জুলাই দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ পেরিয়ে যায়, সেদিনই মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সেখানে বাংলাদেশে রোগী শনাক্তের হার কয়েক দিন ধরে ৩০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পরে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২১টি শর্ত দেওয়া হয়।