চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বিকাশ এজেন্টের টাকা চুরি যাওয়ার ঘটনায় চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন মিটুকে জড়িয়ে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে পৌর শহরের চিরিঙ্গা এলাকায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের শত শত নেতাকর্মী এবং এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাদ্দাম হোসেন মিটু’র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্থানীয় গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আসন্ন চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মিটু ডালিম প্রতীক নিয়ে ৪নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওয়ার্ডের বাইরেও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। মিটুর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাণি¦ত হয়ে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল নানা ধরণের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। চকরিয়ার রাজনীতির পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা মিটুর উপর আনীত ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাহার করে চুরির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুততার সাথে আইনের আওতায় এনে সুবিচার নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা।

বক্তারা আরও বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নবম শ্রেণীতে থাকাবস্থায় মিটুসহ তার পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়। এ সময় মিটু কারাবরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে তিনি এলাকায় ক্লিন ইমেজধারী নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরীকে পূণরায় বিজয়ী করতে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে মিটু ও তার পরিবার। এতে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর রোষানলে পড়েন তিনি। এই কুচক্রী মহলই মিটুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

মিটুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মার্শালকে ধরিয়ে দিতে অথবা সন্ধান দিতে আমাকে অনবরত চাপ সৃষ্টি করছে। এতে আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি। শত শত কর্মীর মতো মার্শালও আমার পরিচিত। তবে সে কোথায় আছে তা আমি জানি না। তাকে আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অথচ অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির মধ্যদিয়ে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি মিটু অনুরোধ করে বলেন; মার্শালকে দ্রুত গ্রেফতার করে রিমান্ডের মাধ্যমে সব তথ্য সংগ্রহ করুন। সেখানে আমার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা পেলে আমাকেও আইনের মুখোমুখি করুন। রাজনীতির কারণে অনেকের সাথে সম্পর্ক ও ছবি থাকে। তার মানে এই নয় যে, একজনের কৃতকর্মের ফল অন্যজনের ভোগ করতে হবে।