লুৎপেয়ারা ফেরদৌসীরোজ শুক্রবার, ২১ শে সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪ সনএক হতভাগী মায়ের কোল আলোকিত করে, এসেছিলে এ ধরায়, অচেনা পাথরগুলো ছড়াচ্ছিল লাবন্য প্রভাপুষ্প খুলে দিচ্ছিল তার প্রতিটি স্তবক, উৎসারিত ঝর্ণা ধারায় প্লাবিত হচ্ছিল সকলের মন। এসেছিলে বলেই, বর্ণিল স্বপ্নে স্পন্দিত হচ্ছিল প্রজাপতির ডানা, কারুময় সবুজে ঘেরা নিবাস,বাড়ির আংগিনা, বন্ধ জানালাগুলোআলোয় ভরেছিল কানায় কানায়।। পদবীতে তুই ছিলে, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের এসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার, সততা, নিষ্টা ও মুগ্ধতার মূর্ত প্রতীক কর্মদক্ষতায় সেরা বনে গিয়েছিলে, বোর্ড পাড়ায় তোর জুড়ি মেলা ছিল ভার।। শিক্ষা-দীক্ষায়, রূপে গুণে ও দূরদর্শিতায়ন্যায় এবং সততার এক যুবরাজ, স্বজন, বন্ধু বান্ধব আর সুশীল সমাজ,ভালবাসার স্বর্গরাজ্যে বসিয়ে একগুচ্ছ পুষ্পের মত,কবে যে পরিল তোকে স্বর্ণ খচিত হীরক তাজ।। হঠাৎ, ঘোর অন্ধকার, নিঃস্তব্ধতা ও সীমাহীন নীরব,পৃথিবীর সব আলো হয়ে গেল বিবর্ণ, ফ্যাড জিন্সের মত মুছে গেল রংধনুর সাত রং, কৃষ্ণাভ পালকের মতো লাইট পোস্টের নীথর আলোচারদিকে নেই কোন সরব, কারণ,রোজ শুক্রবার ২রা জুলাই-২০২১ সন,করোনায় কেড়ে নিল তোর জীবন।। আহা! তোকে কি আর ফিরে পাবনা? আর কখনই কি ছোঁয়া যাবে না?জাদু মাখা কন্ঠ, উচ্ছ্বসিত হাসির শব্ধ,আর কি কখনোই হৃদয়ে ঝড় তুলবে না? তুই হীনা আমি যে স্পন্দন হীন, প্রাণহীন, অতি নিঃস্ব।। ফিরে আয়, ফিরে আয়, স্নেহের অনুজ, বিউগুল সুরে বেজে চলেছে অবিরাম, বুকের কাছাকাছি তোর স্নেহ পিয়াসী মুখ, তুই ফিরে আয় নেয়ামুল।সহকারী অধ্যাপক,শাহ সুলতান(রঃ)ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়,মদনপুর, নেত্রকোনা