গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোট দায়ী : প্রধানমন্ত্রী
21, August, 2021, 12:57:11:PM
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার জন্য তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি আলোচনা সভায় যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, আক্রমণকারীদের রক্ষা করার জন্য সেদিন ভয়াবহতার মধ্যেই পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে। সব আলামত সিটি করপোরেশনের গাড়িতে পানি এনে তা দিয়ে ধুয়ে নষ্ট করা হয়েছে। একটা গ্রেনেড অবিস্ফোরিত থেকে যায়, সেটিও সংরক্ষণের কথা বলায় একজন অফিসারকে ধমকানো হয়। পরে তাকে নির্যাতনও করা হয়েছে। সরকারের সহযোগিতা না থাকলে তো এমন হতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে একজন কারারক্ষী জড়িত ছিল। ওইদিন রাতেই খালেদা জিয়া চারজনকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ওই কারারক্ষীও ছিলেন।
তিনি বলেন, শোনা যায়- বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদ ও ডালিম ওই ঘটনার আগে ঢাকায় এসেছিলেন। তারা খালেদা জিয়ার তত্ত্বাবধানে তারেক রহমানের আশ্রয়ে ছিলেন। যখন শুনেছে আমি বেঁচে আছি, তারা দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়।
২১ আগস্টের ক্ষেত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আগস্ট মাস আসেই শোক ব্যথা-বেদনা নিয়ে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা, আমার ভাই-বোনসহ সবাইকে হারালাম। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাদের চরম যন্ত্রণা ও কষ্টের। বিএনপির অত্যাচারটা শুরু হয়েছিল ২০০১ সালের ১ অক্টোবর থেকেই। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতোই নির্যাতন শুরু করেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি বাবার পথ ধরেই এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি। গ্রেনেড, বোমা, বুলেট দিয়ে বারবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে নেতাকর্মীরা আমাকে বাঁচিয়েছেন।
বিএনপির সমালোনা করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, তারা গুম-খুনের কথা বলে। তাদের হারিস চৌধুরী, সালাউদ্দিন আরও কে কে গুম হয়েছে বলে বেড়ায়। পরে বিদেশে খোঁজ পাওয়া যায়। কেউ ভারতে, লন্ডনে বা আমেরিকায়। আসলে তারা নিজেরা নিজেদের গুম করে রাখে। এটাও এ দেশে ঘটে, দুর্ভাগ্য।
সভায় ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য ও বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।