কালিহাতী প্রতিনিধি:
কালিহাতীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বলগেটের মাধ্যমে বালু মজুদ ও বিক্রি করার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প। স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু বিক্রি ও মুজদ করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলা এই মেঘা প্রকল্প এখন অনেকটাই ঝু্করি মধ্যে রয়েছে।

কালিহাতী উপজেলায় বুড়িগঙ্গা নদী (নিউ ধলেশ্বরী-পুংলি-বংশাই-তুরাগ রিভার সিস্টেম) পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় যুমনা নদী থেকে বুড়িগঙ্গা পানি নেওয়ার কার্যক্রম হাতে নেয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। ধলেশ্বরী-পুংলি-বংশাই নদীতে, নদী শাসনেরও কাজ করা হয়। নদীর নাব্যতা ধরে রাখতে কালিহাতী উপজেলার বেলটিয়াবাড়ি এলাকার প্রায় ৮৫হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে একটি সেডিমেন্ট বেসিন কাজ চলমান রয়েছে। অধিগ্রহণের এক বছর থেকেই স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জমি দখল করে বালুর ব্যবসা শুরু করে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযোগ, মোঃ আব্দুল হাই নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রভাবশালীদের সহায়তায় প্রকল্পের অপটেকসহ সেডিমেন্ট বেসিন পর্যন্ত ভেলগেটের মাধ্যমে বালু পরিবহন করছে। এ সময় বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে নদীর তীরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সেই সাথে সেডিমেন্ট বেসিন ও গাইড বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পটির কারণে তাদের বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু এভাবে ভলগেটে করে বালুর আনায় গাইড বাঁধ ভেঙে বসতভিটা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

এছাড়া প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উওরবঙ্গগামী গ্যাস পাইপলাইনের উপর দিয়ে শত শত বালু ভর্তি ভারি ট্রাক চলাচল করে। যেকোন সময় পাইপ ফেটে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, চলমান বুড়িগঙ্গা নদী (নিউ ধলেশ্বরী-পুংলি-বংশাই-তুরাগ রিভার সিস্টেম) প্রকল্পের ভিতর দিয়ে ভলগেট দিয়ে বালু পরিবহন ও মুজদ করায় প্রকল্পটির মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।