সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ হতে পারে পর্যটকদের তীর্থস্থান। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কি নেই সুনামগঞ্জে। জীববৈচিত্রে ভরপুর ওয়াল্ড হ্যারিটেজ কর্তৃক অন্তর্ভুক্ত রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওড়ের বিশাল জলরাশি, জলের উপর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা হিজল করচ বাগ, দুর থেকে ছবির মতো মেঘ পাহাড়ের হাতছানি, ট্যাকেরঘাটের শহীদ সিরাজ লেক (নীলাদ্রি) সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় পাহাড়, যাদুকাটা নদীর তীরে বারিক্কারটিলা, ভারতের বুক চিঁড়ে আসা যাদুকাটা নদীর স্বচ্ছ নীল জল প্রকৃতিপ্রেমীদের নিমিষেই মোহাবিষ্ট করে ফেলে। দুর করে দেয় সকল ক্লান্তি, জয়নাল আবেদীনের অমর সৃষ্টি বাংলাদেশের বৃহৎ শিমুল বাগানে ফাগুনে আগুলঝরা নীশ আকাশের নীচে অটরূপ সুন্দর লাল ফুলের রূপ যৌবন আর মৌ মৌ গন্ধে দুর থেকে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের বিমোহিত করে তুলে মুহুর্তেই।
পাহাড়, জল, পাহাড়ি নদী আর নীশ আকাশে মেঘের লুকোচুরি খেলায় ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের মনকে আন্দোলিত করে। আনমনেই শ্রান্ত পথিকও গেয়ে ওঠে এলেকেশী মেয়ে কার পথ চেয়ে, মেলেছিলে ঐ কেশ? পথ চাওয়া শেষে, এসেছিল কী সে? ছুঁয়ে মেঘ অনিমেষ।
বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে বাসযোগে সরাসরি সুনামগঞ্জে আসা যায়। বর্ষাকালে শহরের সাহেব বাড়ি নৌকা ঘাট থেকে ইঞ্জিন বোট বা স্পীড বোট যোগে সরাসরি টাঙ্গুয়া যাওয়া যায়। ইঞ্জিন বোটে ৪ ঘন্টায় এবং স্পীড বোটে ২ ঘন্টা সময় লাগে। সেক্ষেত্রে ইঞ্জিন বোটে খরচ হয় ৬শ’ টাকা থেকে এক হাজার ২শ’ টাকা খরচ হতে পারে। একসাথে ৩০-৩৫ জন যাওয়া যায়। স্পীড বোডে খরচ হয় প্রায় ৮ হাজার টাকা। বেসরকারী ব্যবস্থায়পনায় সেখানে রাত্রি যাপনের কোন ব্যবস্থা নেই তবে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৩ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্বে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেস্ট হাউজে অবস্থান করা যায়। সুনামগঞ্জ শহরের পুনাতন বাস ষ্ট্যান্ডে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লিফটের সুব্যবস্থাসহ হোটেল রয়েল ইন।
গ্রীষ্মকালে শহরের সাহেব বাড়ি খেয়া ঘাট পার হয়ে অপর পার থেকে প্রথমে মোটর সাইকেল যোগে ২ ঘন্টায় শ্রীপুর বাজার/ডাম্পের বাজার যেতে হয়। ভাড়া ২০০ টাকা। সেখান থেকে ভাড়াটে ছোট নৌকায় টাঙ্গুয়া ঘুরে আসা যায়। সেক্ষেত্রে ভাড়া বাবদ ব্যয় হতে পারে ৪ হাজার টাকার মতো। ওয়াচ টাওয়ারে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ওয়াটার বোট, লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা।