দেলোয়ার হোসেন, প্রতিনিধি : দীর্ঘ দেড় বছর অপেক্ষার প্রহর শেষে আজ সোমবার খুলেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) আবাসিক হল। এক ডোজ করোনার টিকা নেওয়া শর্তে শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা হয়েছে হল।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সামিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া সশরীরে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. আলমগির কবীর, পরিচালক ছাত্রকল্যাণ ও উপদেশ অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ সহ অন্যান্য হলের প্রাধ্যক্ষ এবং সহকারী প্রাধ্যক্ষবৃন্দ সহ শিক্ষার্থীরা।
ওইদিন সকাল থেকেই হলে প্রবেশ করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। হলগুলোর গেটে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসেছেন হাউজ টিউটররা। শিক্ষার্থীদের ফুল, খাবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সংবলিত মাস্ক দিয়ে বরণ করে নেন তারা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয় স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা। শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করে রুম পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
ফুল-খাবার-মাস্ক পেয়েছেন শিক্ষার্থী : ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে হলে আগত শিক্ষার্থীরাও আছেন খোশ মেজাজে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের আবাসিক ছাত্র শুভ চন্দ্র দাশ বলেন, ‘অনেকদিন পর হলে প্রবেশ করতে পেরে ভালো লাগছে। এতদিন মেসে ছিলাম, অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন অন্তত পড়ার পরিবেশটা পাবো।
বেগম সিরাজুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাবিহা সায়মন বলেন, ‘এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম, অবশেষে পেলাম। এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীটাও সুস্থ, সব স্বাভাবিক। হল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ সুন্দরভাবে আমাদের বরণ করে নেওয়ার জন্য। অনেকদিন পর হলের বান্ধবী, সিনিয়র-জুনিয়রদের সাথে মিলিত হলাম।’
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ ৫৮৫দিন পর হল খুলেছি। স্বাস্থ্যবিধি মান্য সহ শতভাগ নিয়ম মেনে হলে থাকতে হবে। আবাসিক হলের যেসকল শিক্ষার্থী কমপক্ষে একটি টিকা নিয়েছে তারা হলে উঠতে পারবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য আমরা ক্যাম্পাসে ফাইজার টিকা গ্রহণের বুথ স্থাপন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা জাতীয় পরিচয় পত্র করতে পারেনি তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এ জাতীয় পরিচয় পত্র বুথ স্থাপন করা হবে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রের ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশেষায়িত বুথ হবে। আশাকরা যায় এটি আগামী সপ্তাহ থেকেই কাজ শুরু করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।