জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ১১ ডিসেম্বর শনিবার জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে কার্যকরী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফুর রহমান, সুজিত কুমার রায়, সাবেক পৌর মেয়র ও আ.লীগ নেতা মিজানুর রশিদ ভূইয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক বিজন কুমার দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র, প্রচার সম্পাদক হাজী আবদুল জব্বার, সহ-সম্পাদক ফিরোজ আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক জালাল হোসেন (কদ্দুছ কামালী), উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, শ্রম সম্পাদক সৈয়দ শেফুল আমিন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক মিন্টু রঞ্জন ধর, দপ্তর সম্পাদক সাদেকুর রহমান, সহ-সম্পাদক মাসুম আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সদস্য মাস্টার তৌরিছ আলী, শহিদুর রহমান লেচু, সুলতান মিয়া, আফু মিয়া, ছরফ রাজ জুবের, পৌর আ.লীগের সভাপতি ডা.আবদুল আহাদ, পাটলি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাজী জমশেদ মিয়া তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মনু মোহাম্মদ মতছির, রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি হাজী সুন্দর আলী, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাজী আবদুল গফুর, পাইলগাঁও ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুল তাহিদ, আ.লীগ নেতা আবুল হাসান, মোনায়েম খান সাদ প্রমূখ।
 
সভায় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক গঠনতন্ত্রের ৪৭ (১১) ধারা মোতাবেক সবাই ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনে সকল বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিস্কারে সম্মত হন এবং সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির পরামর্শক্রমে পরবর্তীতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ সহ তাদের লিখিত ভাবে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এদিকে-দলের এমন কঠোর সিদ্ধান্তে রীতিমতো শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। যার প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনী মাঠে। তাদের হারাতে হতে পারে উভয়কূল। এমন আশঙ্কায় ভূগছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলে দলীয় নেতাকর্মী সহ অনেকে জানান।