মোহাম্মদ ইয়াসিন : সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান বিজয়ের ৫০তম ববর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ধুয়ে মুছে প্রস্তুত করা হয়েছে। জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে প্রস্তুত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ১৯৭১’র এইদিন বিশ্বের মানচিত্রে সার্বভৌম দেশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রথম বিজয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এ বিজয় এনে দিয়েছেন সেইসব শহীদদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করবে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। তাই প্রতিবারের মতো এবারও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
স্বাধীনতার ৫০তম বছর উদযাপনে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও বিশিষ্টজনরা। এ সময় উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক। উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো মানুষের।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, দিবসটি উপলক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকেই তাদের কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এক নতুন রূপ ধারণ করেছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। শেষ করা হয়েছে ধোয়ামোছা, সৌন্দর্যবর্ধন সহ রঙতুলির কাজ। রঙিন বাহারি ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ প্রান্তর।
এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। মহাসড়কের দু’পাশ ও ব্রিজসহ বিভিন্ন স্থাপনায় বসানো হয়ে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা,নিয়োজিত রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।থাকিবে বিশেষ ওয়াচ টাওয়ার। নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি থাকবে বিভিন্ন বাহিনীর নজরদারি।
করোনা মহামারী প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গন দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিশেধাজ্ঞায় মুখিয়ে ছিলো সাধারন জনগন। স্বাধীনতার ৫০বর্ষপূর্তি উদযাপনের মধ্য দিয়ে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে স্মৃতিময় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।