কামরুল হাসান নিরব, ফেনী: ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ফেনী সদর হাসপাতালের হঠাৎ করেই রোগীর চাপ পাচ্ছে। শীত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। সমগ্র জেলাজুড়ে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। গত ৩ দিনে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৩ শতাধিক রোগী। বর্তমানে সদর হাসপাতালে শয্যার চেয়ে কয়েকগুন বাড়তি রোগী ভর্তি রয়েছেন। এতে বিপাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অনেকে বেড় না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন হাসপাতালের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে অপরদিকে বেগ পেতে হচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের।
মঙ্গলবার হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রিপন নাথ জানান, আমাদের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে বেড রয়েছে মাত্র ১৭টি। অপরদিকে গত তিনদিনে এখানে রোগী ভর্তি হয়েছে গড়ে প্রতিদিন ২৮ থেকে ৩২ জন। পাশ্ববর্তী শিশু ওয়ার্ডে ২৬ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ৩৫-৪০ জন। এতে নিয়মিত চিকিৎসা ব্যবস্থা ও রোগীদের সেবার চাহিদায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সরেজমিনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রশ্নে মেঝেতে জ্বর, সর্দি নিয়ে আক্রান্ত ফুলগাজি সদর ইউনিয়নের আছমা বেগমের ছোট মেয়ে তাসফিসা(১১) এবং পাশ্ববর্তী বেডে শোয়া ফেনী সদর শর্শদি ইউনিয়নের কাশেম মিয়ার ছেলে সিয়াম(১২)। রোগীর স্বজনরা বলেন, আমাদের সন্তানদের হঠাৎ পাতলা পায়খানা, জ্বর, সর্দি সহ বহুবিধ ছোট খাট রোগ প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে। ক্রমাগত শ্বাসকষ্ট সহ রোগের তীব্রতা বাড়তে থাকলে সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত ঔষুধের ব্যবস্থা নেই। ডাক্তাদের পাওয়াও দুরুহ ব্যাপার। কথা বলতেও অনেক ডাক্তারের কষ্ট হয়। অনেক ডাক্তার আবার প্রাইভেটে সেবা নিতে উদ্বুদ্ধ করেন। কিন্তু আমাদের পক্ষে তা সম্ভব নয় বিধায় কষ্ট হলেও এখানে পড়ে থাকতে হচ্ছে।
এমন দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহসহ জনবল ও আসনসংখ্যা আরও বাড়ানোর ভুক্তভোগীরা। হাসপাতালের সেবিকা নুর নাহার বলেন, কম বয়সী শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি শিকার হচ্ছেন।
হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিবছর দূষিত পানির কারনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে রোটা ভাইরাস নামে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।