পাবিপ্রবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
17, January, 2022, 6:44:28:PM
জেলা প্রতিনিধি, পাবনা: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনর রশিদ ডনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ক্যাম্পাস চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
সম্প্রতি পাবনা সদরের ভাড়ারা ইউনিয়নে নির্বাচন কেন্দ্রিক সংঘর্ষে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যাকান্ডের ঘটনায় ওই ইউনিয়নের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন সহকারী রেজিস্ট্রার হারুনর রশিদ ডনের বড় ভাই আবু সাঈদ খান। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়ার কারনে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা হত্যা মামলার আসামী করেছে প্রতিপক্ষ। এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোন রাজনৈতিক কারনে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একজন কর্মকর্তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা যায়না। ওই ঘটনার দিনে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। আজকে এই ধরনের মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে যদি প্রশাসনিকভাবে বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পাবিপ্রবির অফিসার্স অ্যাসোসিয়শনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল্লাহ আল স্বপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের মহাসচিব মীর মোরশেদুর রহমান, যুগ্ন মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মফিদুল ইসলাম মজনু, পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হারুনার-রশিদ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম প্রিন্স, সেকশন অফিসার অলিউল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু, কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন সহ আরো অনেকে।
মানববন্ধন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের যুগ্ন মহাসচিব রফিকুল ইসলাম রফিক।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর ভাড়ারা ইউনিয়নের চারা বটতলার ইন্দারা মোড় কালুরপাড়া এলাকায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাঈদ খান ও তার লোকজন এবং ভাড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদের লোকজনও বের হয়। বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের আপন চাচাতো ভাই আনারস প্রতীকের ইয়াছিন আলম জড়ো হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসিন আলম নিহত হয়।
নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪০/৪৫ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় পাবিপ্রবি এই দুই শিক্ষকের নাম দেওয়া হয়।