শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 2024 বাংলার জন্য ক্লিক করুন
  
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   ফিচার
  বৈদ্যুতিক বিবর্তনে বিলুপ্ত গ্রামীণ হ্যাজাক, হারিকেন ও কুপি
  18, January, 2022, 9:08:32:PM

মোঃ তারিকুর রহমান :
এক সময় রাতের আঁধারে বিয়ে বাড়ি, জন্মদিন, ধর্মসভা, যাত্রাগান সহ গ্রামীণ সকল অনুষ্ঠানের আলোর একমাত্র উৎস ছিল এই হ্যাজাক লাইট যা কালের বিবর্তনে, বৈদ্যুতিক সাফল্যের কারণে আজ বিলুপ্তির পথে পুরনো ঐতিহ্যবাহী আলো দানকারী বস্তুটি। বিলুপ্ত প্রায় হারিকেন ও কুপি নামে আরো দুটি আলো দানকারী বস্তু। সবই চলত কেরোসিন তেলের মাধ্যমে। কুপির ব্যবহার কিছুটা এখনো পাওয়া যায় ক্রমাগত নদী ভাঙ্গনে চরাঞ্চলে নতুন নতুন বসতি গুলোতে যেখানে বিদ্যুতের আলো নদী ভাঙ্গনের সাথে পাল্লা দিয়ে পৌঁছতে পারেনা, সেসব বাড়িতে। এর সবগুলোই আজ নতুন প্রজন্মের কাছে যেন শায়েস্তা খাঁর আমলের ইতিহাসের মত। প্রত্যন্ত গ্রামবাংলার প্রায় অনেক ঘরেই থাকতো হ্যাজাক লাইট। বাড়িতে ছোট-বড় কোন অনুষ্ঠান হলে সকালবেলায় শুরু হত দৌড়-ঝাপ। সন্ধ্যেবেলায় আলো দেয়ার জন্য ব্যবহার হত এই হ্যাজাক লাইট, চলে তাকে জ্বালানোর প্রস্তুতি। সাধারণত সবাই এ বস্তুকে জ্বালাতে পারতো না। সেরকম বিশেষ ব্যক্তিকে সেদিন পরম সমাদরে ডেকে আনা হতো। সেদিন তাঁর চাল-চলন থাকতো বেশ দেমাগি।

এই লাইট জ্বালানোর প্রস্তুতিটাও ছিল দেখার মত, অনেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতো তার কর্মযজ্ঞ, বাড়ির কচি-কাচারা এমনকি বড়রাও হ্যাজাক লাইট প্রজ্জ্বলন প্রস্তুতি দেখতে গোল হয়ে বসত। এরপর তিনি হ্যাজাকে তেল আছে কিনা পরীক্ষা করে নিয়ে শুরু করতেন পাম্প করা। একবার একটা পিন দিয়ে বিশেষ পয়েন্টে খোঁচাখুঁচি করা হত। তারপর একটা হ্যাজাকের নব ঘুরিয়ে কিছু জ্বলন্ত কাগজ তার সংস্পর্শে আনতেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠত। তখন শুরু হতো এই লাইটের গোড়ায় বিশেষ পদ্ধতিতে পাম্প দেওয়া। ক্রমেই হ্যাজাকের মাঝখানের ম্যান্টল থেকে বেশ উজ্জ্বল আলো বেরনো শুরু হত যা দেখতে প্রায়ই এখনকার বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব এর আলোর মতো মনে হতো । আলো জলার সঙ্গে সঙ্গেই একটা বুকে কাপঁন ধরানো আওয়াজ তৈরি হত। আবার মাঝে মাঝে হ্যাজাকের ওপর দিয়ে দুম করে আগুন জ্বলে উঠত। আবার কখনও বা গোটাটাই নিভিয়ে যেত। সফলভাবে হ্যাজাক জ্বালানোর পর সেই ব্যক্তির মুখে ফুটে উঠত এক পরিতৃপ্তির হাসি। আর হ্যাজাকের সেই উজ্জ্বল আলোয় কচিকাচারা চলে যেত এক আনন্দের জগতে।

গ্রামবাংলা থেকে ক্রমেই যেন হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীনতম আলোর সরঞ্জাম হ্যাজাক লাইট। বিয়ে-শাদি, পূজা -পার্বণ, যাত্রাপালা, এমন কি ধর্ম সভায়ও ভাড়া দেওয়া হত এই হ্যাজাক লাইট।

কেমন ছিল হ্যাজাক?
দেখতে অনেকটা হ্যারিকেনের মতোই কিন্তু আকারে বেশ বড়। আর প্রযুক্তিও ভিন্ন রকম, জ্বলে পাম্প করে চালানো সাদা কেরোসিনের কুকারের মতো একই প্রযুক্তিতে। চুলার বার্নারের বদলে এতে আছে ঝুলন্ত একটা সলতে। যেটা দেখতে প্রায় ১০০ ওয়াটের সাদা টাংস্টেন বাল্বের মতো। এটি অ্যাজবেস্টরে তৈরি। এটা পুরে ছাঁই হয়ে যায় না। পাম্প করা তেল একটা নলের ভিতর দিয়ে গিয়ে স্প্রে করে ভিজিয়ে দেয় সলতেটা। এটা জ্বলতে থাকে চেম্বারে যতক্ষণ তেল আর হাওয়ার চাপ থাকে ততক্ষণ। তেলের চেম্বারের চারিদিকে থাকে চারটি বোতাম। একটি পাম্পার। একটি অ্যাকশন রড়। একটি হাওয়ার চাবি। আর একটি অটো লাইটার বা ম্যাচ। অ্যাকশন রডের কাজ হচ্ছে তেল বের হওয়ার মুখটা পরিষ্কার রাখা । হাওয়ার চাবি দিয়ে পাম্পারে পাম্প করা বাতাসের চাপ কমানো বা বাড়ানো হয়।
একবার হাওয়া দিলে জ্বলতে থাকে কয়েক ঘন্টা আর দের থেকে দুই লিটার তেলে জ্বলত সারা রাত। বর্ষার শুরতে এবং শীতের শুরুতেই যখন নদী-নালায় পানি কমতে থাকে তখন রাতের বেলায় হ্যাজাক লাইট জ্বালিয়ে অনেকে মাছ শিকার করে। তবে এটা চলে বছরে মাত্র মাস দুয়েক। এই বাতির ব্যবহার অতি প্রাচীন। সাধারণত বাতি বলতে বুঝায় কুপি, টর্চ লাইট, হ্যারিকেন ও হ্যাজাক। বাতি হল সেই সরঞ্জাম যা অন্ধাকার দূর করতে ব্যবহার করা হয়। প্রাচীনকালে আগুনের ব্যবহারের মাধ্যমে বাতির প্রচলন হয়। প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে সবখানেই। ফিলামেন্ট বাতির বদলে এলইডি বাতির চলও নতুন নয়। তবে এলইডির সঙ্গেও এখন যুক্ত হয়েছে নানা রকম প্রযুক্তির বাতিও হয়েছে স্মার্ট। বাজার ঘুরে জানানো হচ্ছে বাসা-বাড়ি, অফিস, কারখানার নানারকম বাতির খোঁজ। হ্যাজাক লাইট মেরামতকারি রমেশ চন্দ্র দাস এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ২০ বছর আগে হ্যাজাকের ব্যবহার যতেষ্টো ছিল। তখন হ্যাজাক লাইট ঠিক করে আয় ভাল হত।

দিনে ৪-৫টি করে মেরামত করে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতাম। কিন্তু বর্তমানে হ্যাজাক লাইট নেই বললেই চলে। তাই এখন পেশা পরিবর্তন করে বাইসাইকেল(দিচক্রযান) এর মেরামতের কাজ করি। হ্যাজাক লাইটের ‘বানা’র কাজ হচ্ছে তেল সাপলাই দেওয়া, পিন: তেল বন্ধ করা এবং খোলা, মাটিরছিদ্র, ভেপার: তেল সাপলাই দিয়ে ম্যান্ডলে দেয়, ম্যাকজিনে ম্যান্ডল বাধা হয়, ম্যাকজিন তেল সাপলাই দেয়, চিমনি/কাচের কাজ হচ্ছে আলো বৃদ্ধি করা এবং এর নিচের অংশে সংযুক্ত স্টিলের তৈরি বিশেষ পাত্রে তেল ধরে দের থেকে দুই কেজি। এই তেল দিয়ে প্রায় সারা রাত চলে যেতো । সবার ঘরে না থাকায় অনেক সময়, প্রায় ৪০ বছর আগে এসব লাইট এক রাতের জন্য ১২৫-১৫০ টাকা করে ভাড়াও দেওয়া হত জৈষ্ঠ থেকে ফাল্গুন মাস পর্য়ন্ত মাছ শিকারের জন্য বলেও জানান- বর্তমানে হ্যাজাক ব্যবহার কারী , মজিবর রহমান( ৬০) ও আয়নাল হক( ৪৫)।

আরেকটি ছিল হারিকেন, তুলনামূলকভাবে এটি একটি ঘরে আলো দানকারী ক্ষমতার বস্তু হিসেবে প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে ছিল এর ব্যবহার, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা, ঘর আলোকিত করা, কিংবা অন্ধকারে সেকালে আলোর উৎস মানেই প্রত্যেকটা ঘরেই ছিল এই হারিকেন নামক বস্তুটি, কিন্তু তাও আজ কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে। এটাও কেরোসিন দিয়েই জালানো হত, আগুন জ্বালানোর জন্য বিশেষ মেকানিজমে তৈরি আধা ইঞ্চি থেকে ১ ইঞ্চি সাইজের ফিতা দিয়ে নিচের তেল রাখার পাত্র থেকে টেনে উপরে আলো জ্বালানোর এক পদ্ধতি। বৈদ্যুতিক পাখার রেগুলেটর এর মত এর আলো বাড়ানো কমানোর জন্য এনালগ পদ্ধতির একটি চাকাও ছিল যা দিয়ে আলো বাড়ানো যেত এবং কমিয়ে রেখে মানুষ ঘুমিয়ে পড়তো। হ্যাজাক ও এই হাড়িকেন উভয়টির ক্ষেত্রে চারিদিকে বাতাস অপরিবাহী কাচের তৈরি বিশেষ চিমনি ছিল । এই হারিকেন ও আজকাল তেমন একটা দেখা যায় না বললেই চলে।

কুপি ছিল সর্বশেষ গ্রামীণ পরিবেশের রান্নাঘরের একটা ঐতিহ্যবাহী আলো দানকারী বস্তু, এই কুপি এবং হ্যারিকেন এর মধ্যে পার্থক্য ছিল তৎকালীন গ্রামের ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে পার্থক্যকারী একটি আলোর উৎস। গ্রামীণ পরিবেশে তুলনামূলক সম্পদশালীদের ঘরে হারিকেন দেখা গেলেও কুপির দেখা মিলত দরিদ্র পরিবার গুলোতে। তবে রান্নাঘর গুলোতে গ্রামের বিত্তশালীরাও সুবিধার জন্য এই কুপির ব্যবহার করত। এটি শুধুমাত্র মাথায় সলতে দিয়ে নিচের পাত্র থেকে তেল টেনে জ্বালানোর একটা সহজ পদ্ধতির যন্ত্রবিশেষ।
যুগের আবর্তে আজ এর সবগুলোই বিলুপ্ত প্রায়। শহুরে পরিবেশ গ্রামীন পরিবেশের মধ্যে বৈদ্যুতিক আলোর কারণে এখন আর তেমনটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। গ্রামে বিদ্যুৎ চলে আসার পর থেকে হ্যাজাকের কদর তেমনটা নেই, হারিকেন ও আর লাগেনা, আর কুপির ব্যবহারও নেই বললেই চলে। এভাবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে একসময়ের জনপ্রিয় প্রাচীনতম আলোর উৎস হ্যাজাক, হারিকেন ও কুপি । শায়েস্তা খানের আমলে ১ টাকায় ১ মণ ধান পাওয়া গেলে বা একটা গরু মিললেও এখন যেমন তার পুরোটাই ঐতিহাসিক ঘটনা মনে হয়, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ঠিক তেমনই মনে হবে এই হ্যাজাক, হারিকেন ও কুপির গল্পগুলোও। নতুন প্রজন্মের কাছে আজ সেগুলো সবই শায়েস্তা খাঁর আমলের মতই যেন ইতিহাস।



   শেয়ার করুন
   আপনার মতামত দিন
     ফিচার
পর্যটকদের জন্য কাপ্তাই লেকে ভাসছে “রয়েল এডভেঞ্চার”
.............................................................................................
৭১ এর বীর মুনিরুল ইসলাম
.............................................................................................
কুষ্টিয়ার মিরপুরে মধু সংগ্রহ করে স্বাবলম্বী মামুন
.............................................................................................
অগ্রায়নেও ঢেঁকিতে ধান ভাঙ্গার আওয়াজ নেই
.............................................................................................
বন্দী জীবনে মুক্তির পথ খুঁজলেন শব্দের কাছে
.............................................................................................
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার মাটির ঘর
.............................................................................................
ঈদ বিনোদনে প্রস্তুত ফ্যান্টাসি কিংডম
.............................................................................................
বিখ্যাত ‘মঙ্গলবাড়িয়া লিচু’র স্বাদ ছড়াচ্ছে দেশে দেশে
.............................................................................................
বিশ্বে এইসব দেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের রোজা হয়
.............................................................................................
আলু পরোটা বিক্রি করে সংসার চলে রাজ্জাকের
.............................................................................................
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা দিচ্ছে শিমুল ফুল
.............................................................................................
তিল চাষে অধিক মুনাফার সম্ভাবনা
.............................................................................................
বৈদ্যুতিক বিবর্তনে বিলুপ্ত গ্রামীণ হ্যাজাক, হারিকেন ও কুপি
.............................................................................................
বাহারি ফুলে রঙ্গিন ইবি ক্যাম্পাস
.............................................................................................
হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বেত শিল্প
.............................................................................................
হলুদ চাদরে ঢেকে আছে মাঠ
.............................................................................................
ধার করা ক্যামেরায় বানানো সিনেমাটি জিতলো কান চলচ্চিত্র পুরস্কার
.............................................................................................
সাতক্ষীরায় হলুদ চাষে কৃষকের বাম্পার ফলনের আশা
.............................................................................................
প্রচারবিমুখ এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ‘মেজর ওয়াকি’
.............................................................................................
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ সাজে বিস্তীর্ণ মাঠ
.............................................................................................
মেহেদী পরিয়ে আয় করছেন নুসরাত মারিয়া
.............................................................................................
কুমড়ার বড়ি তৈরীতে ব্যস্ত গৃহিনীরা
.............................................................................................
হাট-বাজারে পিঠা উৎসব
.............................................................................................
বরিশালে শীতের আগামনে ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম
.............................................................................................
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতাদের আর দেখা মেলে না
.............................................................................................
বিদেশি জাতের তরমুজ চাষে শিক্ষকের সফলতা
.............................................................................................
শাপলার রাজ্য বরিশাল
.............................................................................................
বরিশালের আমড়া খেতে ভারি মজা!
.............................................................................................
জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে জবি শিক্ষার্থীর চিত্রকর্ম
.............................................................................................
এক সফল গরু খামারী জিয়া উদ্দিন মজুমদার
.............................................................................................
করোনায় করুণ কাহিনি
.............................................................................................
বাড়ছে লিথিয়ামের চাহিদা
.............................................................................................
সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তি হিসেবে বান্দরবান পাঠানোর কারণ
.............................................................................................
ঘরেই তৈরি করুন চিলি চিকেন
.............................................................................................
বিলুপ্তর পথে শেরপুরের আদিবাসীদের তাঁতশিল্প
.............................................................................................
প্রযুক্তি নির্ভর দুনিয়ায় অপার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র ‘ফ্রিল্যান্সিং’
.............................................................................................
দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে কাঠের তৈরি এই ৫ তলা বাড়ি
.............................................................................................
শীতের শুরুতে জকিগঞ্জের ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম
.............................................................................................
সাজেক সে তো মেঘের রাজ্য
.............................................................................................
পুরুষরা স্ত্রীর কাছে যেসব সত্য গোপন করেন
.............................................................................................
আঙ্গুলের নখ বলে শরীরে অসুখের উপস্থিতি
.............................................................................................
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পষ্টে ২ কিশোরের মৃত্যু
.............................................................................................
ফোন খরচ বাঁচিয়ে পথ শিশুদের খাবার বিতরণ!
.............................................................................................
প্রবাসীদের ‘ঈদ’ এর পেছনের গল্প
.............................................................................................
ঈদে গরুর মাথার মাংস রান্নার রেসিপি
.............................................................................................
পরিশ্রমের কাছে মেধা চির অসহায়
.............................................................................................
ফুলের সুবাস মিষ্টি কেন ?
.............................................................................................
বিশ্ব বাবা দিবস আজ
.............................................................................................
বিলুপ্তির পথে মিঠাপুকুরে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প
.............................................................................................
ফ্লোরা ফেস্টিভ্যালঃ বাসায় বসে বাগানের রিভিউ দিন
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
    2015 @ All Right Reserved By dailyswadhinbangla.com

Developed By: Dynamic Solution IT