স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গত ৪০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শাসনামলে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কোন উন্নয়ন করেনি, তারা উন্নয়নের বিষয়টি উপলব্দি করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। এজন্যই গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ইমার্জিং টাইগারে পরিণত হয়েছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য ৭টি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। নৌপথ খননের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে আরো ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির কষ্ট হয়, কেন বাংলাদেশ শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের মতো হচ্ছেনা? তাদের মনের চিন্তা বাংলার মানুষ মঙ্গাপীড়িত থাকবে, অশিক্ষিত থাকবে, চিকিৎসাসেবা পাবেনা, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এগুলো করতে করতে তারা (বিএনপি) বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিএনপি বাংলার মানুষকে হৃদয়ে ধারণ করেনা। তারা বাংলার মানুষকে শোষণ করার জন্য রাজনীতি করে। তারা বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্র থেকে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
এসময় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী, শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস। প্রতিমন্ত্রী সভাশেষ করে নৌপথে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়াঘাট এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াঘাট পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্যে, দ্রুত ও স্বল্প সময়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজারসমূহ মেরামত, সংরক্ষণ ও অপারেশনে সহায়তার লক্ষ্যে সরকার দেশে পাঁচটি ‘ড্রেজার বেইজ’ স্থাপন করছে। তারই অংশ হিসাবে মানিকগঞ্জের আরিচায় ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন করা হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরিচায় ড্রেজার বেইজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ ড্রেজার বেইজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এতে তিন তলা অফিস ভবন, দোতলা স্টাফ ডরমেটরি, একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। আরিচায় ড্রেজার বেইজটি আরিচা এলাকাসহ রাজবাড়ী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এলাকায় নৌপথ খননে তদারকি সহজতর হবে।