শাবিপ্রবিতে সুমন হত্যায় ছাত্রলীগের ৪ নেতা জেলে, ৭ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
8, May, 2022, 6:44:59:PM
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকর্মী সুমন চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার নির্ধারিত দিনে শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত।
তারা হলেন- শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েল, শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক ও ছাত্রলীগকর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে জামিন নামঞ্জুর করে চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, মোস্তাক আহমদ মিয়াজী ও ছাত্রলীগকর্মী নয়ন চৌধুরী।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক জহির হোসাইন, সহ-সভাপতি এস কে হাসিবুর রহমান, নূরে আলম, ছাত্রলীগকর্মী জুনায়েদ আহমদ ও মো. জেসমুল হাসান আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকেও কারাগারে পাঠান।
২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার দাসের অনুসারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ছাত্রলীগকর্মী সুমন চন্দ্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সুমনের মা প্রতিভা দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ জনের বিরুদ্ধে নগরীর জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ছয় বছর পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীকালে গত বছরের জানুয়ারিতে এ চার্জশিট আমলে নেন আদালত।