খুলনায় ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি, যা বললেন স্টেশন মাস্টার
25, May, 2022, 3:08:52:PM
খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা রেল স্টেশনে টিকিট কালোবাজারির বিষয়ে ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মাস্টারের সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টারকে শোকজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে খুলনা রেলের ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত চারজনসহ মোট ৫ জনকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের ট্রেন এক্সামিনার (টিএক্সআর) বায়তুল ইসলামকে চিলাহাটি, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদকে রোহানপুর স্টেশন, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেনকে মহেড়া স্টেশন, খালাসি মোল্লা পপিদুর রহমানকে পাবর্তীপুর ও খালাসি জাফর ইকবালকে যশোরে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে রোববার রাতে মতবিনিময়কালে খুলনা রেল স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের স্টেশনে স¤প্রতি একটি কালোবাজারি চক্র ধরা পড়েছে। আপনারা অবগত আছেন। বিষয়টা রেল ও সরকারের জন্য দুঃখজনক ব্যাপার। অনেকদিন থেকে কিছুটা নলেজে আসছিল। কিন্তু ঈদের আগে থেকে ওরা বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল, সেই বিষয়টা প্রশাসন ও আমাদের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু তেমন একটা সুবিধা হয়নি। ওরা কাউন্টারে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক টিকিট নেয়ার চাপ প্রয়োগ করে। ওদের বেআইনী দাবি, কথা মানতে পারিনি। তখন আমার উপর শারিরীক নির্যাতনের পরিকল্পনা করে।
বুঝতে পেরে আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালাম। উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বললো ঠিক আছে, আপনি একটা জিডি করে রাখেন। আমি জিডি করার ভিত্তিতে পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন, ম্যাজিস্ট্রেট জেনেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা বদলি হয়ে যাওয়ার পরে বিভিন্ন মিডিয়াতে অনেকসময় ভুল বক্তব্য দিচ্ছে। এতে খুলনা গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের স্টাফদের দুর্নাম হয়। তারা বলছে, যে মাস্টারের কালো বিড়াল থলে থেকে বের হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে একটি টিকিট নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছিল। সেটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পর্যন্ত গড়ায়। দুদক ৩১ বার তদন্ত করে দেখে মানিক চন্দ্র সরকারের বিলের পৌনে ২ কাঠা জমি ছাড়া কোন জমি নেই। পুরাতন স্টেশনে লঞ্চ ঘাটে ২০১৭ সালে তেল চুরি হয়েছে ওটা তো আমার জানা ছিল না। আমি পরবর্তীতে পত্র-পত্রিকায় শুনেছিলাম।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার ট্রেনের টিকেট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে খুলনা রেল স্টেশনের ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে খুলনা রেলওয়ে থানায় জিডি করেন।