দিনাজপুরের বিরামপুরে পথেঘাটে, খাল-বিলের পাড়ে, বাড়ির আঙিনাসহ আনাচে কানাচে কাঁচা-পাকা খেজুরের সমাহার। বলা হয়, বছরে দুই ফলন আসে খেজুর গাছে, শীতকালে মিষ্টি সুস্বাদু রস, আর গরমকালে খেজুর ফল।
বিরামপুর বিভিন্ন স্থানে খেজুর গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে খেজুর। তা দেখে প্রতিটি মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। এখনো প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে খেজুর পাঁকতে। সরকারি সড়কের খেজুর গাছের খেজুরগুলো স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা পেড়ে খেতেও শুরু করেছে। এখনই অনেক খেজুরে রঙ ধরেছে। তবে এখনও খাওয়ার উপযোগী হয়নি। পাকলে অনেকেই পাকা খেজুর বাজারেও বিক্রি করবেন।
বিরামপুর খায়েরপাড়া গ্রামের হাফিজুর বলেন, আমার বাড়ির পাশে তিনটি খেজুরের গাছ আছে, বয়স অনেক হয়েছে। তিনটি গাছেই প্রচুর খেজুর ধরেছে। কিছু দিনের মধ্যেই তা পাকবে। কিন্তু গ্রামের ছেলেরা এখনি পেড়ে খেতে শুরু করেছে।
কেটরা হাট বাজারের রাস্তার পাশে খেজুর পাড়ছিল কিশোর শাকিল। সে জানায়, এখনো পাকেনি তাই খেতে একটু কোষ্টা (কষ)।
তোকি পুর গ্রামের হামিদুল বলেন, এখন তো আর আগের মতো খেজুরের গাছ নেই। আমার একটা খেজুরে গাছ হয়েছে, এইবার প্রথম ফল আসছে। অনেক খেজুর ধরেছে, দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। আর কয়েক দিন পর খেজুরগুলো পাড়বো।