স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ক্ষমতা গ্রহণের বিশেষ আয়োজনে এবার ১৯ বাংলাদেশি ও দুটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন খেতাব পেয়েছে। এই প্রথম বাঙালির নাট্যদল ‘পূর্বানাট’ পেয়েছে রানির সম্মাননা ‘দ্য কুইনস অ্যাওয়ার্ড ফর ভলান্টিয়ার সার্ভিস’। এটিই সংগঠন হিসেবে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি।

পূর্বানাটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নাট্যকার মুরাদ খান বলেন, পূর্বানাট মূলত আর্টসের মাধ্যমে মাইনরিটি বা সংখ্যালঘু গ্রুপের কমিউনিটি উন্নয়নে কাজ করছে। বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, গর্ব করার মতো বিষয়গুলো আর্টসের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা আগে থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলেও পূর্বানাটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে। এই প্ল্যাটফর্ম মূলত অভিবাসী শিল্পীদের সমন্বয়ে গঠিত। এতে মূলধারার শিল্পীরাও যুক্ত আছেন। শুরুতে আমাদের কাজ ছিল শুধু থিয়েটার। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা কমিউনিটির চাহিদা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করেছি। পূর্বানাট আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাদেশের নানা গ্রামীণ সংস্কৃতি তুলে এনেছে। ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের জন্য সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের কাজ করছে পূর্বানাট।

ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, পূর্বানাটে এখন অনেক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির অন্যতম আয়োজন ওরস নিয়ে চলছে বিশেষ আয়োজন। এ ছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের অবদান নিয়ে তৈরি হচ্ছে সেক্টর ১২ নামের একটি থিয়েটার। একই সঙ্গে ব্রিটিশ হ্যারিটেজের অর্থায়নে মিডল্যান্ড এলাকার প্রবাসী মুক্তিযাদ্ধা সংগঠকদের অডিও রেকর্ড করে আর্কাইভ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে একটা বড় বইয়ের কাজও হচ্ছে। এটি ভবিষতে রিসার্চের কাজে ভালো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

মুরাদ খান বলেন, রানির সম্মাননা আমাদের জন্য বিশেষ উপহার। এই সম্মাননার মধ্য দিয়ে আমাদের কাজের মূল্যায়ন হলো। আমাদের কার্যক্রম সঠিক পথে আছে- সেটা এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হচ্ছে। আমরা অত্যন্ত খুশি এই সম্মাননা প্রাপ্তিতে।