নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক বাড়ীওয়ালা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিগৃত নারী। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে কৌশলে এলাকার প্রভাবশালীরা সালিশের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ধর্ষণের শিকার ওই জানান, তাকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বললেও তা আত্নসাৎ করেন প্রভাবশালীরা।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা নতুন রাস্তা বৌ কথা কও কমিউনিটি সেন্টারর পিছনের বাড়িওয়ালা হাজী মোঃ জিয়া (৪৫) এর বাড়িতে। তারই বাড়ীতে ভাড়াটিয়অ হিসেবে থাকতেন রবিনা (২২)  নামে ওই নারী।

রবিনা অভিযোগ করেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্কে স্থাপন করেছেন জিয়া। তার নামে ফ্ল্যাট লিখে দেবেন বলে তাকে আশ^স্ত করেন। এক পর্যায়ে বাড়িওয়ালা আমাকে দিয়ে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করিয়ে স্বামীকে দুরে সরিয়ে দেন। আমার স্বামী চলে যাওয়ার পর আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে  আমার সঙ্গে প্রতিদিনই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত। বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আমাকে তার বাসা থেকে চলে যেতে বলে। সর্বশেষ গত ২৪ মে রাতে জিয়া আমার সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে করে। আমার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে হাতেনাতে ধরে তাকে বেদম মারধর করে। আমি কোন উপায় না পেয়ে থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ করি।

এদিকে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল জোরপূর্বক আমাকে জিম্মি করে আমার কাছ থেক একটা সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং জিয়ার কাছে থেকে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা হাজী জিয়ার মুঠোফোনে সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রবিনার সঙ্গে আমার লেনদেন ছিল। আমি অনৈতিক কোন কাজ করিনি। তবে এলাকায় মাতুব্বররা এটা সমাধান করে দিয়েছেন। আমাকে যে টাকা দিতে বলেছে সেই টাকাই আমি মাতুব্বরদের দিয়ে দিছি। রবিনা টাকা পেয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

অভিযোগের বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই এরশাদ আলম বলেন, মেয়েটি আমাকে বলছে এখন গেলে আসামীকে পাওয়া যাবে না। উনি বাসায় আসলে ফোনে দেবে। তবে এখনও ফোন দেয়নি। এলাকাবাসী জানানয়, বাড়িওয়ালা কাছ থেকে প্রভাবশালী মহল ৪ লাখ টাকা নিয়েছে।