স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক করোনার সময় সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন মুখ থুবরে পরেছে। এর আচ পরেছে বাংলাদেশেও, সেই সংকট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি। সামগ্রিক অর্থনৈতিক এই গতির সঙ্গে বাড়ছে দেশের কোটিপতির সংখ্যা। চলতি বছরের তিন মাসে ব্যাংক খাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬০৩টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব মতে, গত ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশের ব্যাংকগুলোতে এক কোটি টাকার বেশি থাকা হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫টি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সে সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২০২২ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে দেশে কোটিপতি হসাবধারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩ হাজার ৫৯৭টিতে। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টি। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটিপতি হিসাবধারীর (ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান) সংখ্যা বেড়েছে এক হাজার ৬২১টি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ কোটি ৭৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩। যাদের হিসাবে জমা ছিল ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালের মার্চ আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার। তাদের হিসাবে জমা ছিল ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা।
২০২১ সালের মার্চ শেষে ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি আমানতের হিসাবের সংখ্যা ছিল ৯৪ হাজার ২৭২টি। ২০২২ সালের মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫৯৭টিতে। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৯ হাজার ৩২৫টি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের মার্চে দেশে যখন করোনা হানা দেয় তখন ব্যাংক খাতে কোটি টাকার বেশি আমানত রাখার হিসাবের সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫টি। মহামারি চলাকালে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরেই কোটিপতি হিসাবের ওই অংক এক লাখ ছাড়ায়। ২০২২ সালের মার্চ শেষে তা দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৫৯৭টিতে। এ হিসাবে মহামারির ২৪ মাসে দেশে কোটিপতি হিসাব বেড়েছে ২০ হাজার ৯৭২টি।