স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তাদের একজন বাইক চালাচ্ছিলেন, অন্যজন আরোহী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, পদ্মা সেতুতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত দুইজনকে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেছেন।
নিহতরা হলেন আলমগীর হোসেন ও মো. ফজলু।
এই দুর্ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার কিছুক্ষণ পরই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করে সরকার।
সোমবার ভোর ৬টা থেকে মোটরসাইকেল চলাচলের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
তথ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হয় আজ ভোর ৬টা থেকে। তবে সবার আগে সেতু পার হওয়ার প্রবণতায় গতকাল রাত থেকেই হাজার হাজার বাইক ও যানবাহন সেতুর মাওয়া প্রান্তে জড়ো হতে থাকে।
এতে সেতুর টোলপ্লাজার আগেই দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। সবার আগে সেতু পার হওয়ার প্রবণতায় বাইকচালকরা বিশৃৃঙ্খলা শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যান।
পদ্মা সেতুতে দুর্ঘটনায় দুই বাইকারের মৃত্যু পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোলপ্লাজায় রোববার সারা দিনই ছিল বাইকারদের এমন আধিক্য। ছবি: নিউজবাংলা বাইকাররা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন টোলপ্লাজায়। নির্দিষ্ট লেন না মেনে প্রায় সব লেনেই ভিড় করেন। এতে অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশও করতে পারে না টোলপ্লাজায়।
এরই মধ্যে পদ্মা সেতুতে বাইক নিয়ে গিয়ে সেতুর রেলিং থেকে নাট খোলার ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওর সূত্র ধরে নাট খোলার ওই ঘটনায় বাইজীদ নামে এক যুবককে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরেক ব্যক্তিকেও একটি ভিডিওতে রেলিং থেকে নাট খুলতে দেখা গেছে। দেখা গেছে সেতুতে উঠে প্রস্রাব করার একটি ছবিও, যা দিনভর ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এর পর সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুতে বাইক দুর্ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।