স্বাধীন বাংলা ডেস্ক বার্সেলোনা রাজি হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখের শর্তে। রবার্ট লেভানডোফস্কির জন্য ক্লাবটি ৫০ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ দেবে। আর তাতেই লেভার বার্সাতে যাওয়ার ইচ্ছাও পূরণ হয়েছে। দলবদলের আগে বায়ার্নের হয়ে শেষ সাত মৌসুমে তিনি ৪০ এর বেশি গোল করেছেন। তাঁর এমন সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে পুষ্টিবিদ স্ত্রী আনা লেভানডোফস্কি খাবার সূচি।
বায়ার্নে নয় বছর ছিলেন লেভানডোফস্কি। প্রতি মৌসুমে তিনি গোল করেছেন ধারাবাহিকভাবে। এমন সাফল্যের পেছনে কাজ করেছে তাঁর ফিটনেস সচেতনতা। তিনি শরীরকে সুস্থ রাখতে পরামর্শ নিয়েছেন একজন পুষ্টিবিদের। যিনি পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি তাঁর স্ত্রী আনা। স্ত্রীর উল্টো ডায়েট পদ্ধতি অনুসরণ করেই লেভা প্রতিপক্ষের জালের সঙ্গে দারুণ সখ্য গড়ে তুলেছিলেন।
লেভানডোফস্কির দিন শুরু হতো টুনা মাছ দিয়ে। ৩৩ বছর বয়সী ফুটবলার সকালের নাশতা করতেন সামুদ্রিক এই মাছটি দিয়ে। আর দুগ্ধ-শর্করা এড়িয়ে চলতেন খাদ্যাভ্যাসে। উল্টো ডায়েট পদ্ধতির জন্য তিনি প্রথমে খাবার শুরু করতেন মিষ্টান্ন দিয়ে (কোকোআ ব্রাউনিজ)। এরপর মাংস বা মাছ খেতেন আর শেষটা করতেন স্যুপ অথবা সালাদ দিয়ে। এই খাদ্যাভ্যাসটি তিনি কয়েক বছর ধরে অনুসরণ করে আসছেন। এভাবে নিজেকে সুস্থ রেখে তিনি নিয়মিত গোল করেছেন বায়ার্নে হয়ে।
লেভানডোফস্কির এমন সফল ক্যারিয়ারের জন্য তাঁর স্ত্রী আনার অবদান অনস্বীকার্য। পুষ্টিবিদের সঙ্গে আনা একজন শারীরিক শিক্ষায় স্নাতকও। তাঁর নিজস্ব পুষ্টি ব্যবসা ও ফিটনেস কেন্দ্রিক একটি ইউটিউব চ্যানেলও আছে। পোল্যান্ড তারকা নিজেও একটি স্পোর্টসওয়্যার ব্র্যান্ডের মালিক। তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি দেশটির অলিম্পিক দলের জন্য পোশাক সরবরাহ করে।