কেসিসি হোল্ডিংট্যাক্স টার্গেটের চেয়ে দু’ কোটি বেশী আদায়
20, July, 2022, 10:35:51:PM
খলিলুর রহমান সুমন, খুলনা খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) দীর্ঘ কয়েক বছর পর এবারই প্রথম গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) আদায়ে টার্গেটপূরণে সক্ষম হয়েছে। টার্গেটের চেয়ে এবার প্রায় দু’ কোটি টাকা বেশী গৃহকর আদায় করেছে কর আদায় শাখা। যা আদায়ের হার দাড়িয়েছে ১০৪.০৭%। কেসিসির মেয়র তালুকদার আঃ খালেকের নেতৃত্বে নিয়মিত এবং দ্রæত গৃহ মালিকদের রিভিউ আবেদন নিস্পত্তির কারণে এ সফলতা এসেছে বলে কেসিসি মনে করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে মতে, খুলনায় প্রায় ৯০ কোটি টাকা গৃহকর অনাদায়ী রয়েছে।
এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানিক গৃহকর অনাদায়ী প্রায় ৪০ কোটি টাকা। আর বাড়িওয়ালাদের গৃহকর বকেয়া রয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। কালেকটর অব ট্যাক্সেস তপন কুমার নন্দী বলেন, কেসিসি কর্তৃপক্ষ গৃহকর আদায়ের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় ২০২১-২২ অর্থবছরের টার্গেট বেধে দেয়। এ বছর সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা টার্গেট বেধে দেয়া হয়। সবার আন্তরিকতায় এবারই প্রথম তারা টার্গেটের বেশী গৃহকর আদায় করছে। এবার গৃহকর আদায় হয়েছে ৩৯ কোটি ২ লাখ ৮১ হাজার টাকা। যা টার্গেটের চেয়ে দু’ কোটি টাকা বেশী। আদায়ের হার ১০৪.০৭%। তবে প্রতিষ্ঠানিক অনাদায়ী গৃহকর রয়েছে ৪০ কোটি টাকার মত।
এর মধ্যে কেডিএ’র নিকট বকেয়া রয়েছে ১৫ কোটি টাকা,রেলওয়ের কাছে ১৫ কোটি টাকা, প্লাটিনাম জুট মিলের কাছে আড়াই কোটি টাকা, সোনালী জুট মিলের কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকা, নৌ বাহিনীর নিকট দু’ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানিক হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া পড়ে আছে। এছাড়া আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া রয়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স। শত চেষ্টার পর এর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এ বকেয়া দিতে উৎসাহি হচ্ছে না। তবে গৃহকর বকেয়া রয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকার মত। নগরীতে এখন হোল্ডিং-এর সংখ্যা ৭২ হাজার ৮শত ৮৪টি। নতুন করে হোল্ডিং তালিকাভুক্ত হয়েছে প্রায় দু’ হাজার।
এখন প্রতিটি হোল্ডিং মালিক বিল প্রিন্ট হওয়ার পরই বাসায় বসে বিল পাচ্ছেন। আগে মালিকরা বিল পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ আসলেও এখন সেই সুযোগটা নেই। কারণ প্রতিটি ওয়ার্ডে কেসিসির আদায়কারী সরকার রয়েছে। তিনি বিল প্রিন্ট হওয়ার পরই তা হোল্ডিং মালিকদের নিকট পৌচ্ছে দিচ্ছেন। এ জন্য সচেতন হোল্ডিং মালিকরা সময় মত বকেয়া কর পরিশোধ করছেন। এছাড়া যেসব মালিকরা তাদের ধার্যকৃত কর নিয়ে আপত্তি আছে তারা রিভিউ’র জন্য আবেদন করলে মেয়র নিজে তার শুনানী করেন। এবং মেয়র নিয়মিত ও দ্রæতগতিতে এসব রিভিউ’র শুনানী শেষ করেন। যার জন্য কর আদায় দিনকে দিন বাড়ছে। গত ১৭ জুলাই থেকে চলতি বছরের প্রথম কোয়াটার বিল ছাড়তে শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে কর আদায় শাখার প্রধান হিসেবে যোগদানের পর এবারই প্রথম টাগের্টের চেয়ে বেশী কর আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে টার্গেট বেধে দেয়া হয় ৩৭ কোটি টাকা। কিন্তু করোনার কারণে আদায় হয় ৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। আদায়ের হার ছিল ৯৩.৮৩%। কেসিসি’র কর আদায় শাখার প্রধান তপন কুমার নন্দী বলেন, প্রায় ৪০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানিক গৃহকর অনাদায়ী রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। তারপরও কর্তৃপক্ষের বেধে দেয়া টার্গেট পূরণে সক্ষম হয়েছেন।