মুফিজুর রহমান নাহিদ: সিলেটের ওসমানীনগরে বিষক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অচেতন অবস্থায় ওই পরিবারের আরও ৩ সদস্যকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ছেলের অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকলেও মা ও একমাত্র মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসার ও শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে সিওমেকে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১টায় ওসমানী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দেখতে যান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ওসমানী মেডিকেলে উপ-পরিচালক ওসমানী মেডিকেলের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শাহরিয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) রফিকুল ইসলাম, এনেসথেসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার আহসানুল আলম প্রমুখ।
এসময় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ওসমানীনগরের ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩ জনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে এসেছি। বর্তমানে ছেলেটার অবস্থা মোটামুটি ভালো। মায়ের অবস্থাও একটু ভালো। তবে মেয়েটার অবস্থা স্থিতিশীল।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ তাদের মতো করে তদন্ত করছে। আশাকরি স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করবেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর স্কুল রোডের একটি বাসা থেকে একই উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের ধিরারাই খাতুপুর গ্রামের মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম (৫০), তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬) ও সাদিকুল ইসলাম (২৫) এবং মেয়ে সামিরা ইসলামকে (২০) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের জানাজা বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মফিজ উদ্দিন পিপিএম। তিনি বলেন, পুলিশ বিভিন্ন বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। পরিবারের ভেতর থেকে কেউ বিষ প্রয়োগ করেছে নাকি বাহিরে থেকে কেউ বিষ প্রয়োগ করেছে- সে বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জানানোর মতো বড় ধরণের কোনো তদন্তের অগ্রগতি নেই।