জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামী নেতার সংবাদ সম্মেলন
20, August, 2022, 5:35:47:PM
দুলাল কৃষ্ণ নন্দী, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার। শনিবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় তার সাথে দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী নেতার অভিযোগ বিনা নোটিশে বাউফল উপজেলা বগাবন্দরে র্দীঘদিনের পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। যা আইন ও নীতিমালা পরিপন্থি।
লিখিত বক্তব্যে বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, ওয়ারিশ সূত্রে মালিকাধীন আনিছুর রহমানের কাছ থেকে ১৯৯৩ সালে উল্লেখিত জমি ক্রয় করেছে এবং র্দীঘ ২৮/২৯ বছর ওই জমি তার ভোগ দখলে রয়েছে। গত শুক্রবার পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বাউফল উপজেলার ৯৬নং জেএলভুক্ত বগা মৌজার ০১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৩৯৭ নম্বর দাগের ৮১৬ এবং ৯৪৪ বর্গফুট জমি ছেরে দিতে নোটিশ প্রদান করেন। যে নোটিশে ১৭ আগস্ট শুনানীর দিন রাখা হয়। প্রেরিত নোটিশটি ১৭ আগষ্ট হাতে পেয়ে তাৎক্ষনিক উল্লেখিত জমির অনুকুলে প্রয়োজনীয় ও যথেষ্ট প্রমানাদি নিয়ে স্বাক্ষরকৃত কর্মকর্তার দপ্তরে হাজির হয়ে তা উপস্থাপন করি। কিন্তু শুনানীতে কোন প্রকার আদেশ ও মতামত না দিয়ে ১৯ আগস্ট জমিতে গড়া পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, উল্লেখিত জমি দলিলমূলে তার নামে। অথচ জেলা প্রশাসন তার দুই ছেলে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ এবং ছোট ছেলে হাসিব হাওলাদারকে নোটিশ দিয়েছেন। যার মনগড়া ও নীতিমালা পরিপস্থিত বলে স্পষ্ট হয়েছে। একটি অদৃশ্য শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জেলা প্রশাসন তার স্থাপনা ভেঙ্গেছেন বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে বগা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৩.৭ শতাংশ সম্পত্তি দখলে নিয়ে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনাসহ দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন। ওই স্থাপনায় ৮/১০টি দোকান-ঘর ভাড়া দিয়ে আসছিলেন তিনি। এবিষয় একাধিক দৈনিক পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। সরকারি সম্পত্তি থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে একাধিকবার নোটিশ করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। বরং দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি অবৈধ মার্কেট থেকে ভাড়া আদায় করে আসছেন। অবৈধ দখলে থাকা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি নিজের দাবী করেন আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মোতালেব হাওলাদার। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) উচ্ছেদ অভিযান চলান হয়। এসময় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।