স্বাধীন বাংলা ডেস্ক এই তেতো সবজির পুষ্টিগুণের কথা জানলে অবাক হতে হয়। করালাতে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি ভরপুর।
তেতোর কথা বললেই প্রথমে মাথায় আসে করলার কথা। ঠিক একারণেই বেশিরভাগ মানুষ করলা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এই তেতো সবজির পুষ্টিগুণের কথা জানলে অবাক হতে হয়। করালাতে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি ভরপুর। আবার ক্যাটিচিন, গ্যালিক অ্যাসিড, এপিকেটেচিন এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার। এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে করলা আপনার পছন্দের সবজি না হয়ে উঠলেও খেতে মন করবেই।
১. ওজন কমাতে সাহায্য করে করলা লো ক্যালোরির খাবার হওয়ার পাশাপাশি লো ফ্যাটের খাবারও। ফলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে করলা জাদুর মতো কাজ করে।
২. হজমে সাহায্য করে করলাতে আছে ভরপুর ফাইবার যা খাবার হজম করার পাশাপাশি পেটকেও ভাল রাখে। নিয়মিত করলা খেলে দূর হয়ে যেতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যাও।
৩. ত্বক ভাল রাখে ত্বক ভাল রাখার ক্ষেত্রে করলার জুড়ি মেলা ভার! করলায় থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ত্বক ভাল রাখার পাশাপাশি ব্রণ সারাতে ম্যাজিকের মত কাজ করে।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায় গবেষণা অনুযায়ী করলার রস পাকস্থলী, ফুসফুসের ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়া আরও এক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে করলা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধেও চমৎকার ভূমিকা পালন করে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় করলাতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও শরীরকে সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা যদি আপনি আপনার বাগানে এই বাগটি দেখতে পান, তবে এটি তাড়াতাড়ি করুন
৬. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগের সম্ভবনাও বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে করলার রস কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
যারা তেতো খেতে পছন্দ করেন তাঁদের কাছে খুবই প্রিয় একটি সবজি। একে সিদ্ধ করে, ভেজে, তরকারি করে সবরকম ভাবেই খাওয়া যায়। আর তেতো হওয়ার জন্য যদি করলা না খান, তাহলে খাওয়া শুরু করুন, উপকার আপনারই হবে।