স্বাধীন বাংলা ডেস্ক
১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ করে আত্মসাতের ঘটনায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আজ আদালতে কুতুব উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।

গুলশানে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দের মামলায় ৫ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল করা হয় গত ১৮ জুলাই। এর আগে ১৭ জুলাই এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ৬ মাসের জামিন দেন।
আদালতে কুতুবের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান।

আদেশের বিষয়টি জানান খুরশিদ আলম খান। তিনি বলেন, ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দের মামলায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কুতুব উদ্দিন আহমেদকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। গত ১৫ মার্চ বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে কুতুবের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। এরপর কয়েকবার তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু জামিন হয়নি। গত ১৭ জুলাই হাইকোর্ট তাকে ৬ মাসের জামিন দেন।

২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ভূমি মন্ত্রণালয়ের তখনকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মির্জা জাহিদুল আলম।

কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তার শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে বরাদ্দ করেন। শ্বশুর ও স্বজনদের নামে অভিজাত এলাকা গুলশানে সরকারি ১০ কাঠা জমি ক্রয় দেখিয়ে নিজেই বসবাস করার অভিযোগে ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল গুলশান থানায় কুতুবের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় কুতুবের সঙ্গে নাজমুল ইসলাম সাঈদকেও আসামি করা হয়। একই বছরের ১২ এপ্রিল কুতুবকে বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে ভূমি মন্ত্রণালয়।