মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: পাগলী চুমকি প্রসব করলো ফুটফুটে নবজাতক শিশু । শুক্রবার ৯ সেপ্টেম্বর, গভীর রাতে চুমকি নামে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) গর্ভবতী এই নারী শ্রীমঙ্গল শহরের পুরান বাজার রাস্তার উপর পড়েছিল। গর্ভবতী এই নারী বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় পড়ে ব্যথায় ছটফট করছিল। এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হুমায়ুন কবির। সেখান থেকে গর্ভবতী নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ওসি (তদন্ত) মোঃ হুমায়ুন কবির নিজ দায়িত্বে ভর্তি করেন এবং গর্ভবতী নারীর দেখভাল করার জন্য আরেকজন নারীর ব্যবস্থাও করেন তিনি।
এ সময় শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হুমায়ুন কবির নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে নতুন কাপড় আনেন এবং যাবতীয় ঔষধের ব্যবস্থা করে দেন মানসিক ভারসাম্যহীন গর্ভবতী নারী চুমকির জন্য। শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সহযোগিতায় চুমকির এখন ফুটফুটে নবজাতক এক ছেলে মা। এই মানবিক কাজের মাধ্যমে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) সুস্থ সুন্দর এক ছেলে সন্তানের মা হলেন। যদিও সে পাগল তবুও সন্তানের মুখ দেখে আনন্দে আত্মহারা চুমকি। সন্তানকে নিয়ে চুমকি এখন সুস্থ আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
আজ এই পুলিশদের সহযোগিতা ও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় মা ও নবজাতক শিশু ফিরে পেলেন এক নতুন পৃথিবী। মানবিক এ কাজে ওসি (তদন্ত) মোঃ হুমায়ুন কবিরকে সহযোগিতা করেছে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মোঃ আমিনুল ইসলাম ও এএসআই মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন সোহেল, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল জব্বার আজাদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বগত চিকিৎসকগণ।
পৃথিবীতে মানবতা আজও বেঁচে আছে তা আবারো প্রমাণ করলো শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। এর আগে করোনা কালীন সময়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ক্ষুধার্ত মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছানোসহ বহু মানবিক কাজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এখনো সমাজের অধিকাংশ মানবিক কাজগুলি পুলিশরাই করেন। তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।