কানাইঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল দিঘীরপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ফারুক আহমদকে পাঠদান অবস্থায় শ্রেনিকক্ষে ঢুকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোনাপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। মুজিবুর রহমান একই গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র।
জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষক ফারুক আহমদ দ্বিতীয় শ্রেনির ক্লাশ নিচ্ছিলেন। এসময় শিশু শিক্ষার্থী মাহিয়ানুল ইসলাম (১০) শ্রেনিকক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থীকে শাসন করে তার বাবাকে স্কুলে নিয়ে আসার জন্য শিক্ষক ফারুক আহমদ তাকে বাড়িতে পাঠান। এর কিছুক্ষণ পর মাহিয়ানুলের পিতা মুজিবুর রহমান ক্লাসরুমে ঢুকে শিক্ষক ফারুক আহমদকে এলোপাতাড়ী কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা এগিয়ে এসে ফারুক আহমদকে উদ্ধার করেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষক ফারুক আহমদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন স্কুলের শিক্ষকরা। আহত শিক্ষকের পক্ষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ মুহিজুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ইতোমধ্যে শিক্ষককে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এ নিয়ে শিক্ষক সমাজের মাঝে উত্তেজান বাড়তে থাকে। এদিকে, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দিতে থানায় আসে মুজিবুর রহমান। উত্তেজনা প্রমশনের পুলিশ শিক্ষকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
মুজিবুর রহমানের অভিযোগ করেন, তার শিশু পুত্রকে শিক্ষক ফারুক আহমদ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেত্রাঘাত সহ মারধর করেছেন। এ ঘটনার তিনি প্রতিবাদ করেছেন, শিক্ষককে মারধর করেননি।