সংস্কৃতিকর্মী ও দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার দিরাই উপজেলার প্রতিনিধি জয়ন্ত কুমার সরকার(৩৮)আর নেই। রবিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
সাংবাদিক জয়ন্ত কুমার সরকার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ডাঃ মনি রানী তালুকদার। পরিবারের তরফ থেকে সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।
জানা যায়, সকালে হাটাহাটি শেষে বাসায় ফিরে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলা রোডস্থ নিজ বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে স্ত্রী অর্পিতা রানী সরকার (অপি) জয়ন্ত কুমার দাসের ভাই জুসেন সরকার, প্রতিবেশী মিটন তালুকদার দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সাংবাদিক ও সংস্কৃতি কর্মীদের প্রিয়মুখ জয়ন্ত কুমার সরকারের আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সংস্কৃতি কর্মীরা জয়ন্ত কুমার সরকারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
জয়ন্ত কুমার সরকার দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জ্যোতিষ চন্দ্র সরকারের ছেলে। জয়ন্ত সরকারের দুই ছেলেমেয়ে দেবী (৪), অর্ণব (২) নামের ও স্ত্রী রয়েছে। দৈনিক ভোরের কাগজের দিরাই উপজেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের দিরাই সংবাদদাতা হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন।
জয়ন্ত কুমার সরকারের ভাই জুষেন সরকার বলেন, বুকে ব্যথা হচ্ছে জানালে ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমার ভাই মৃত্যুর কাছে হার মেনেছে। তার এ আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারতেছি না। তিনি জানান, (১৮সেপ্টেম্বর) রবিবার বিকেল ৫টায় গ্রামের বাড়ি আলীপুরে জয়ন্ত কুমার সরকারের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।