ইউসুফ বিন হোসাইন, চকরিয়া সংবাদদাতা:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড পূর্ব সুরাজপুর মগপাড়াবিল শাহ আসমত উল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় সাবেক সেনা সদস্য মোঃ নুরুল আমিনের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় ক্রয়কৃত জায়গা জবরদখলের উদ্দেশ্যে গাছের চারা কর্তন ও দফায় দফায় হামলার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গত শনিবার ভোর ৬টা ১০মিনিটের দিকে পূর্ব সুরাজপুর শাহ আসমত উল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় সাবেক সেনা সদস্য নুরুল আমিনের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় ক্রয়কৃত জমি দখলের চেষ্টা চালায় একই এলাকার মোঃ আবুল হোসেন, আবুল কাসেম ও মৃত রফিক আহমেদের ছেলে মিছবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এসময় তারা ধারালো দা, কিরিচ, লোহার রড, লোহার হাতুড়ী, লাঠি নিয়ে এসে জোরপূর্বক জায়গাটি দখল করার অপচেষ্টা চালায়। এসময় জমির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেওয়া ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে এবং জমির পাকা ধান নষ্টসহ ১৫-২০টি চারাগাছ কর্তন করে অন্তত ১৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। খবর পেয়ে মোঃ নুরুল আমিনের স্ত্রী হুমাইরা জন্নাত ও মেয়ে জন্নাতুল নাঈম সাবরিনা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে। একপর্যায়ে নুরুল আমিনের স্ত্রী ও মেয়েকে এলোপাতাড়ীভাবে কিল, লাথি, ঘুষি মেরে জখম করে এবং স্ত্রী হুমাইরা জান্নাতকে চুল ধরে টানা-হেঁছড়া ও বিবস্ত্র শ্লীলতাহানী করে। এসময় সাবেক এ সেনা সদস্যের স্ত্রী ও মেয়ের গলায় থাকা স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে।

পরে এ ঘটনার বিষয়ে খবর পেয়ে তিনি মসজিদে নামাজ পড়ে বের হয়ে মোঃ নুরুল আমিন ঘটনাস্থলে গেলে তাকে হাতুড়ী দিয়ে আঘাত করে আহত করে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে ও তার বুকে পর পর স্বজোরে লাথি মারে। এসময় তার প্যান্টের বাম পকেটে থাকা নগদ ৮ হাজার টাকা নিয়ে ফেলে বলে জানান তিনি।

এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মোঃ নুরুল আমিনসহ তার স্ত্রী এবং মেয়েকেকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এছাড়াও তার বর্গাচাষীকেও মারধর করে বলে জানা যায়।

এ ঘটনায় সাবেক সেনা সদস্য মোঃ নুরুল আমিন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানান।