সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। নিহতের নাম মুজিবুর রহমান। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ভাই সজিবুর রহমান, ফয়জুর রহমান, তাদের চাচাতো ভাই মুহিবুর রহমান, তার ছেলে এবাদুর রহমান ও আজাদ মিয়া। এছাড়া নিহতের আরেক ভাই ফয়জুর রহমান অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে জমি ক্রয় সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিবেশি আইন উদ্দিন, তার বাবা কয়েছ আহমদসহ আবু বকর, ফয়েজ, তাদের ভগ্নিপতি নানু মিয়া গংরা মুজিবুর রহমানকে একা পেয়ে মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে লোহার তৈরী সাবল দিয়ে মুজিবুর রহমানের মাথায় সজোরে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে রক্ষার জন্য ভাই-ভাতিজারা এগিয়ে আসলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১১টার দিকে মুজিবুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন।
হাসপাতালে ভর্তি আহত আজাদ মিয়া জানান, প্রতিবেশি মৃত মুসন মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগমের কাছ থেকে নিহতের বাড়ি সংলগ্ন ৭ শতক ভূমি রয়েছে। ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যে ওই ভূমি ক্রয় করতে কথাবার্তা সম্পন্ন হয়। কিন্তু প্রবাসী নইম উদ্দিন বেশি দামে জায়গাটি কিনে নেন। একপর্যায়ে এলাকার লোকজনের মধ্যস্থতা দুই অংশ তাদের ও এক অংশ মুজিবুর রহমানকে দেন। কিন্তু এ নিয়ে প্রতিপক্ষ নইম উদ্দিন বিদেশ গিয়ে হুমকি দিতে থাকেন। তারা বিভিন্নভাবে ভূমির পুরো মালিকানা নিতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমরা এলাকার মুরব্বীদের ঘটনাটি বার বার জানিয়ে রাখি। কিন্তু মুরব্বীরা বলতেন, একজন হুমকি দিলেই কি মেরে ফেলবে?
তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে তার চাচা মুজিবুর রহমানকে একা পেয়ে পিটিয়ে ও মাথায় সাবল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালায়।