মোহাম্মদ ইয়াসিন : সাভারের আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক ও তার বড়ভাই রওশন আলমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে জমি দখলের চেষ্টা ও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘন্টায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।

গত ১১ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক ও তার বড়ভাই রওশন আলমসহ আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মরহুম লাল মিয়ার ছেলে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মোঃ আহাদ আলী আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ২০১৩ সাল থেকে ভুক্তভোগী আহাদ আলীর কাছ থেকে ৭৬ শতাংশ জমি মাসিক চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে জুটের গোডাউন তৈরি করে জুট ব্যবসা করে আসছে। অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও তার ভাই রওশন আলম ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী হইতে ভাড়া না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে আসছে। একপর্যায়ে গত ১০ তারিখ গোডাউনে ভাড়ার টাকার জন্য গেলে অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও তার বড়ভাই রওশন আলম ভুক্তভোগী ও তার ম্যানেজার সবুজের উপর চড়াও হয় এবং ম্যানেজার সবুজের কাছে ভাড়া উত্তোলন বাবদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাকে কিল-ঘুষি মারে আহত করে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ওমর ফারুকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

গনমাধ্যমকে ভুক্তভোগী আহাদ আলীর ছেলে শফিউল্লাহ বলেন, অভিযুক্ত রওশন আলী ও তার ভাই ওমর ফারুক ২০১৩ সালে আমার পিতার কাছ থেকে ৭৬ শতক জমি মৌখিক ভাবে ভাড়া নিয়ে গোডাউন তৈরি করে। তাতে তারা জুট ব্যবসা করে আসছে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে লিখিত স্ট্যাম করে পাঁচ বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে জুট ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারী মাস থেকে বিবাদী রওশন ও তার ভাই ফারুক ভাড়া না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে আসছে। একপর্যায়ে আমার পিতা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানালে তারা আমার বাবাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাননাশের হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, গত ১০ নভেম্বর ওমর ফারুক ও তার ভাই রওশনসহ আরও চারপাঁচ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র সহ জোরপূর্বক ভাবে আমাদের জমি দখল করতে আসে। আমরা বাধা দিলে ফারুক আমাদের আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় এবং গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে জানিয়ে যায়।এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন আতংকে দিন কাটাচ্ছি। এব্যাপারে ওমর ফারুক ও তার ভাই রওশন আলমসহ কয়েক জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যাহার নং ৩৪, তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২২। আমরা তাদের ভয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আতংকে আছি। আমি আইন প্রশাসনসহ মিডিয়ার সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই এমদাদুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।