মোহাম্মদ ইয়াসিন, সাভার : ঢাকার সাভারে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকরা পটুয়াখালীর এসিল্যান্ড আবু বক্কর সিদ্দিকীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে খোয়া যাওয়া মোবাইল ও মানিব্যাগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা। এর আগে বুধবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঢাকার আমিন বাজার ও সাভারের বিভিন্ন স্থান থেকে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ছিনতাই এর সাথে সরাসরি জড়িত ৫ জন এবং মোবাইলটি যে দোকানে বিক্রি করা হয়েছিল সেই দোকানীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃতদের ছুরিটি সহ মোট ৪টি সুইচ গিয়ার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার বাজুন্দি গ্রামের মৃত মালেক ফকিরের ছেলে রাসেল ফকির (২০), কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার গজারিয়া বাজার গ্রামের মো. ছাত্তরের ছেলে মো. নাঈম (২০), রাজধানীর ভাসানটেক থানার পশ্চিম ভাসানটেক গ্রামের মো. কামাল হোসেনের ছেলে মো. কামরুল হাসান (২২), মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার তিল্লিরচর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সজীব আহমেদ (২০) ও পাবনা জেলার বেড়া থানার ছোট পায়না গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মো. আরমান (২১)। তারা সবাই সাভারের আশপাশে ছিনতাই করে বেড়াতো। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।
পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত জানায় যে, গত ২২ অক্টোবর ল্যান্ড সার্ভে ও সেটেলমেন্ট-বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিতে সাভারে আসেন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বক্কর সিদ্দিকী। ১৪ নভেম্বর বিকেলে অসুস্থ মাকে দেখার জন্য রাজধানীর মিরপুরে যান তিনি। সেখান থেকে রাতেই সাভারে ফিরতে সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাস থেকে নামার পর ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তিনি। এ সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন আবু বক্করের ভগ্নিপতি সুমন হোসেন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই আসামীদের সাভার ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে। খোয়া যাওয়া মোবাইলটি ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।