রংপুর মহানগরীর মর্ডান মোড়ে আগুন দুটি হোটেলসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই। শুক্রবার রাত ১১টার পর বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসী ও দোকানদার সূত্রে জানা যায়, একটি দোকানে কারেন্টের কাজ চলছিলো, সেখান হতে শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন ধরে মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে শাহিন হোটেল, আযাদ হোটেল (আংশিক)সহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে দোকানদার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারলাম না। কয়েকদিন আগে আমার বাবা মারা গেছেন এরপর দোকানো গেলো, আমার কপালে পুড়ে গেলো। আমার সব শেষ হয়ে গেলো, প্রায় ৭/৮ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। একইভাবে শফিকুল, কামরুল, জয়নালসহ সকল দোকানদার একই কথা বলেন।
দোকানদার শাহ আলম বলেন পাশের দোকানে কারেন্টের কাজ করতে গিয়ে আগুনের সৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যে সব দোকান ছাই হয়ে গেলো। তিনি ফায়ার সার্ভিসের প্রশংসা করে বলেন, তারা খবর পেয়ে দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে না নিলে আশপাশের সব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়ে যেত।
তাজহাট থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমাদ মিয়া বলেন, আমাদের সামনেই আগুন লেগে মুহুর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস সময়মত না আসলে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ বাসা বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়তো। আমরা চাই যাদের দোকান পুড়ে গেছে সরকার তাদের সহযোগিতা করুক।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাদশা মাসুদ আলম বলেন, আমরা রাত ১১:১৭ মিনিটে সংবাদ পেয়ে দ্রুত আগুন স্থলে আসি। দুটি ইউনিটের মাধ্যমে পুরো একঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখন জানানো সম্ভব হচ্ছে না। তদন্ত করে বলতে হবে। এদিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফিসহ প্রশাসনের লোকজন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন ও সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন।