জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি প্রদান করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে তাসপিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রানা দায়িত্ব পান। গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) ক্যারিয়ার ক্লাবের চিফ মডারেটর অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন এবং মডারেটর সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম কমিটির অনুমোদন দেন।
নতুন কমিটির সভাপতি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী তাসপিয়া ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অর্থনীতি বিভাগের রানা ইসলাম।
উক্ত নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান মো: তাহসীন ফাহাদ, মো: আতিকুর রহমান, মো: শাহরিয়ার কবির রিসাত এবং আফরিদা তাবাসসুম তমা।
এছাড়া ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটির কোষাধ্যক্ষ শাফকাতুল আজম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার চৌধুরী বর্ণীয় সাফায়াত আর্দিত নাবিল ও মো: নাঈমুল হাসান সুপ্ত।
নবনির্বাচিত সভাপতি তাসপিয়া বলেন, প্রফেশনাল জীবনে শিক্ষার্থীদের সচেতন এবং আত্নবিশ্বাসী করার লক্ষ্যে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যরিয়ার ক্লাব (জেএনইউসিসি)। প্রতিবছরই জেএনইউসিসি থেকে আয়োজিত হচ্ছে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, কেইস কম্পিটিশন, ক্রিয়েটিভিটি কম্পিটিশন, আইডিয়া কম্পিটিশন ইত্যাদি। এরই ধারাবাহিকতায় ক্লাবের প্রতিটি সদস্যের উন্নয়ন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের নতুন কমিটির মূল লক্ষ্য।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রানা বলেন, আমাকে যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের সাথে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একুশ শতকের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদেরকে প্রস্তুত করতে কাজ করবো। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন সফট স্কিল ও হার্ড স্কিল অর্জন করে একজন শিক্ষার্থী যেন প্রফেশনাল ওয়ার্ল্ড এ ফ্রেশার হিসেবে অন্যদের চেয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখতে পারে সে লক্ষ্যেই আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের সদস্যরা বরাবরই বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ কাজ গুলোতে এগিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত জীবনে আমিও অনেক কিছু শিখতে পেরেছি ডাইভার্সিফাইড মানুষগুলোর কাছ থেকে। আশা করি নতুন কমিটি তাদের সুদক্ষতার প্রমাণ দিয়ে ক্লাব কে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক দ্রুত সফলতার দিকে পৌঁছে দেবে।